হ্যাক বা হ্যাকিং সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন। বিশেষ করে যেসব ব্যবহারকারী প্রায় সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তারা এই দু’টি শব্দের সাথে ভালোভাবেই পরিচিত। কেউ হ্যাকড হয়ে, কেউ অন্যের হ্যাকড হওয়া কথা জানতে পেরে এই নাম দুটির সাথে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাই অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় সময় তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের সিকিউরিটির কথা ভেবে নানা ধরনের চিন্তায় মগ্ন থাকেন। এই সিকিউরিটির কথা বিবেচনা করে অনেকেই নানা ধরনের প্রদক্ষেপও নিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর বেশ কিছু মারাত্মক ভুলের কারণে তাদের ই-মেইল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলো সহজেই হ্যাকারের কবলে পড়ে যায়। এবারের সংখ্যায় ই-মেইল ও ফেসবুকের সিকিউরিটির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা অনুসরণ করে আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারবেন।
ফেসবুক সুরক্ষা :
বর্তমানে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। ফলে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত-অপরিচিতদের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়। তাই অনেকেই তাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য এই ফেসবুকে যুক্ত করে থাকেন। যেমন-ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত অনেক তথ্য বা ফটো বা ই-মেইল নাম্বার, ফোন নাম্বার যুক্ত করে থাকেন। ফলে কারো অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে তারা নানা ধরনের চিন্তা ও ঝামেলায় পড়ে যান। বিশেষ করে মহিলারা এই সমস্যায় বেশি পড়ে থাকেন। কারো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে ওই অ্যাকাউন্টের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি হারাতে হয় এবং নানা ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। ফেসবুকের তথ্যকে সুরক্ষার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন :
ফেসবুক পাসওয়ার্ড :
অনেক ব্যবহারকারী ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সাদামাটাভাবে দিয়ে থাকেন। যেমন-sweetbangladesh, iloveyou, missme, mynameis… ইত্যাদি ধরনের। কিন্তু এই ধরনের পাসওয়ার্ড দেয়া মানে আপনার অ্যাকাউন্টকে অনেকাংশ উন্মুক্ত করে দেয়া। তাই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় কোনো পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে নাম্বারসহ ছোট-বড় হাতের লেখাযুক্ত (স্মল-ক্যাপিটাল লেটার) পাসওয়ার্ড দিন এবং সহজে অনুমান করা যাবে এমন কোনো পাসওয়ার্ড দেবেন না।
ই-মেইল অ্যাড্রেস লুকানো :
একজন হ্যাকারের কাছে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ই-মেইল অ্যাড্রেসটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ই-মেইল অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখুন এবং যেসব ই-মেইল অ্যাড্রেস বেশি প্রয়োজনীয় নয়, সেসব ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফেসবুকে লগইন করার জন্য ই-মেইল অ্যাড্রেসটি ব্যবহার করে লগইন করতে হয় বলে হ্যাকাররা এই ই-মেইল অ্যাড্রেসকে টার্গেট করে থাকে। ই-মেইল অ্যাড্রেসের সুরক্ষা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। তাই প্রয়োজনে ফেসবুকের জন্য আলাদা ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করুন।
ফোন নাম্বার :
বিশেষ করে মহিলাদের প্রোফাইলে ফোন নাম্বার যুক্ত না করাই ভালো। কেউ যদি নাম্বার ব্যবহার করতে চান তাহলে কাস্টোম ব্যবহারকারীর কাছে তা দেখাতে পারেন। ফোন নাম্বারের কারণে নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
ফটো সুরক্ষা :
ফটো থেকে শুরু করে ফেসবুকের অ্যাকাউন্টের নানা ধরনের সুরক্ষা দেয়া যায়। এসব অপশনের জন্য আপনার অ্যাকাউন্টের কাস্টম সেটিং থেকে শুধু আপনার জন্য বা আপনার পরিচিত মানুষের জন্য তথ্যগুলো দেখাতে পারেন।
অন্যান্য :
ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট সেটিং থেকে সিকিউরিটি ট্যাবে দেখুন বেশ কিছু অপশন রয়েছে। যেমন-Security Questions, Secure Browsing, Login Approvals, Apps Password, Recognize Device ইত্যাদি ফিচার অ্যাক্টিভ করে নিতে পারেন। প্রয়োজনে ফেসবুকের প্রোফাইল ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।
ই-মেইল অ্যাড্রেসের সুরক্ষা :
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের ই-মেইল অ্যাড্রেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাড্রেস। কারণ, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় সময় বিভিন্ন কারণে ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে হয়। তাই এই অ্যাড্রেসের সুরক্ষার কথা বেশি ভাবতে হয়। ই-মেইল অ্যাড্রেসের ক্ষেত্রে কিছু কথা মনে রাখা প্রয়োজন। কাজের ধরন অনুযায়ী একাধিক ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারেন, তবে সব ই-মেইল অ্যাড্রেসের পাসওয়ার্ড একই ধরনের রাখবেন না।
ই-মেইল অ্যাড্রেস সুরক্ষার জন্য নিচের আলোচনাটি পড়ুন :
পাসওয়ার্ড :
ফেসবুকের মতো ই-মেইল অ্যাড্রেসের পাসওয়ার্ড অনেকে এত সহজ দিয়ে থাকেন, ফলে শুধু অনুমান করে পাসওয়ার্ড এন্টার করেই ই-মেইল অ্যাড্রেসে প্রবেশ করতে পারে যেকেউ। অনেকেই ই-মেইল অ্যাড্রেসের পাসওয়ার্ড হিসেবে 123456, abc123, bangladesh, ilove you, miss you নামের শেষ অংশ ইত্যাদি ধরনের দিয়ে থাকেন। ফেসবুকের সুরক্ষার জন্য যেভাবে পাসওয়ার্ড দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তেমনভাবে পাসওয়ার্ড দিন।
কমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার :
অনেক ব্যবহারকারী একাধিক ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে থাকেন এবং প্রতিটির পাসওয়ার্ড একই ধরনের ব্যবহার করে থাকেন। ফলে তাদের একটি আইডি হ্যাকড হলে যাবতীয় সব ই-মেইল অ্যাড্রেসও হ্যাকড হয়ে যায়। তাই এমন না করে অ্যাকাউন্টের ওপর ভিত্তি করে পাসওয়ার্ডের ধরন পরিবর্তন করুন।
সিকিউরিটি প্রশ্ন ও উত্তর :
ই-মেইল অ্যাড্রেসের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে এই সিকিউরিটি প্রশ্ন ও উত্তর দিয়ে তাদের প্রশ্ন রিট্রাইভ করে থাকেন। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন যারা সিকিউরিটি প্রশ্ন ও উত্তর এতই সহজ দিয়ে থাকেন যে উক্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা থাকলেই প্রশ্ন ও উত্তর দিয়ে পাসওয়ার্ড রিট্রাইভ করে ফেলতে পারে। তাই আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেসের সিকিউরিটি প্রশ্ন ও উত্তর একটু কঠিন দিতে চেষ্টা করবেন বা এমন কোনো উত্তর দিতে চেষ্টা করবেন, যা অন্য কেউ ভুলেও অনুমান করতে পারবে না।
লক্ষণীয় :
অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাইবার ক্যাফে, ইউনিভার্সিটি বা অফিসে ফেসবুক, ই-মেইল চেক করে থাকেন, তাদেরকে জানাচ্ছি-আপনারা যেসব কমপিউটার ব্যবহার করছেন তা কতটা সুরক্ষিত জেনে নিন। এই কমপিউটারগুলো নানা ধরনের মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এবং নানা ধরনের হিডেন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। ফলে কেউ যা-ই টাইপ করে তা উক্ত সফটওয়্যারে সেভ হয়ে যায়। তাই এসব স্থানে আপনার খুবই প্রয়োজনীয় ই-মেইলগুলো চেক না করাই ভালো। আর কখনও ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সেভ করা অবস্থায় রাখবেন না। আরো বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন
http://www.serversolution4u.com
ip address দিয়ে কম্পিউটার এর নাম বের করুন …
ধরুন আপনি একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রয়েছেন। আপনার কোনো কাজের জন্য অন্য কম্পিউটারের নাম জানার প্রয়োজন পড়েছে কিন্তু আপনার কাছে শুধু সেই কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে। তাহলে আপনি নিচের কমান্ডটি ব্যবহার করে খুব সহজেই সেই কম্পিউটারের নাম বের করতে পারবেন।
১। প্রথমে Run এ গিয়ে cmd টাইপ করে Enter প্রেস করুন।
২। এবার (আপনার কম্পিউটারকে সেই কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকতে হবে)।
c:\>ping -a ipaddress
যেমনঃ c:\>ping -a 192.168.1.1
ওপরের কমান্ড টাইপ করে এন্টার প্রেস করার পর আপনার কাছে উক্ত কম্পিউটারের নাম সহ আইপি’র পিং রিপ্লাই দেখাবে।
সবাই অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন আপনার ভাল লাগা বা খারাপ লাগা এই পোষ্টটি সম্পর্কে
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন