আসসালামু আলাইকুম

শনিবার, ১৮ মে, ২০১৩

উইন্ডোজ কম্যান্ড প্রমট এর দুর্দান্ত কিছু ব্যবহার শিখে নিন


কমপিউটারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করার জন্য বিশেষ করে কনফিগার ও কমপিউটারজুড়ে নেভিগেট করার জন্য ব্যবহারকারীকে প্রয়োজনীয় সব কমান্ড মুখস্থ রাখত হয় না। পক্ষান্তরে আইকনভিত্তিক গ্রাফিক্স ইন্টারফেসের প্রবণতা হলো অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিস্বরূপ হবে উল্লেখযোগ্যভাবে নমনীয়। এ অপারেটিং সিস্টেমকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে করে শিক্ষানবিসরাও সহজে কাজ করতে পারে। কমান্ড লাইন বা কমান্ড প্রম্পটের মাধ্যমে সহজেই সরাসরি কমপিউটারের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং বিভিন্ন কাজ কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া যায়। এজন্য ব্যবহারকারীকে সুনির্দিষ্ট কমান্ড ব্যবহার করতে হয়। কমান্ডগুলো অবশ্যম্ভাবীরূপে সংজ্ঞামূলক নয়। সুতরাং, কমান্ডগুলো জানতে হবে এবং মনে রেখে কাজ করতে হবে।
tree command 500x263 উইন্ডোজ কম্যান্ড প্রমট এর দুর্দান্ত কিছু ব্যবহার শিখে নিন
কমান্ড লাইন ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে কাজ সম্পন্ন করা যায়। এছাড়াও কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমান্ড লাইন ছাড়া এক্সেস করা যায় না। সুতরাং, কমান্ড লাইন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। এ সত্য উপলব্ধিতে এবারের পাঠশালা বিভাগে উপস্থাপন করা হয়েছে উইন্ডোজ এক্সপি’র কমান্ড লাইন বা প্রম্পটে কিভাবে এক্সেসে করা যায় এবং কিছু কমান্ডের ব্যবহার। উইন্ডোজ এক্সপি’র কমান্ড লাইনে এক্সেসের জন্য Start থেকে Run-এ ক্লিক করে টেক্সট বক্সে cmd টাইপ করে এন্টার চাপুন বা Ok-তে ক্লিক করুন। বিকল্প হিসেবে কমান্ড প্রম্পটে এক্সেস করতে পারবেন Start থেকে All Programms থেকে Accessories-এ ক্লিক করে Command prompt সিলেক্ট করুন। এর ফলে চালু হবে cmd.exe উইন্ডো, যা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেবে কমপিউটারের পুরনো দিনের কথা। কমান্ড প্রম্পটে সফলভাবে এক্সেসের পর আপনাকে কিছু কমান্ড সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে, যা দিয়ে আপনি কাজ করবেন।
cmd উইন্ডোজ কম্যান্ড প্রমট এর দুর্দান্ত কিছু ব্যবহার শিখে নিন
কমান্ড প্রম্পটজুড়ে নেভিগেট করা

উইন্ডোজ গ্রাফিকাল এনভায়রনমেন্টের মতো করে কমান্ড প্রম্পটও ড্রাইভ, ডিরেক্টরি (ফোল্ডার)-এর ডাটা অর্গানাইজ করে। প্রতিটি লজিক্যাল ড্রাইভের (যেমন- C:, D: ইত্যাদি) নিজস্ব এন্ট্রি রয়েছে এবং ধারণ করে নিজস্ব ডিরেক্টরি এবং ফোল্ডার সেট ও ফাইল।
কমান্ড প্রম্পট উইন্ডো বাই ডিফল্ট বসে C:> ভাবে, যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে আপনি লজিক্যাল ড্রাইভ C: তে আছেন। সাধারণত কমপিউটারের প্রথম হার্ডড্রাইভ C: হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে এবং এটি হলো সেই ড্রাইভ যেখানে উইন্ডোজ ইনস্টল করা থাকে। পরীক্ষা করে দেখার জন্য উইন্ডোজে My Computer-এ গিয়ে C: ড্রাইভ ওপেন করে দেখুন। আর এই একই কাজ কমান্ড প্রম্পটে করা যায় DIR টাইপ করে এন্টার চেপে। উভয় ক্ষেত্রে ফল একই তবে একটু ভিন্নভাবে। উইন্ডোজের ক্ষেত্রে এক্সপ্লোরার ফাইলের আগে ফোল্ডারকে রাখে, পক্ষান্তরে DIR কমান্ডে সব কনটেন্টকে বর্ণক্রমিকভাবে বিন্যস্ত করে।
DIR কমান্ড বর্তমান ড্রাইভের ফোল্ডার, ড্রাইভ বা ফাইল লিস্ট প্রদর্শন করে। বর্তমান ফাইল বা ফোল্ডারের লিস্ট আরো কার্যকরভাবে প্রদর্শন করা যায় DIR /d বা DIR /P কমান্ড ব্যবহারের মাধ্যমে।
ফোল্ডারের মধ্যে মুভ করা

কমান্ড প্রম্পটে ফোল্ডারের মধ্যে নেভিগেট করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন CD কমান্ড। ‘CD’ অর্থাৎ ‘Change Directory’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। C:> প্রম্পট থেকে Windows ফোল্ডারে এক্সেস করতে চাইলে cd windows টাইপ করে এন্টার চাপুন। এর ফলে প্রম্পট হবে C:WINDOWS>, যার অর্থ হচ্ছে আপনি বর্তমানে C: ড্রাইভে Windows ফোল্ডারে অবস্থান করছেন।
প্যারেন্ট ফোল্ডারে ফিরে যেতে চাইলে বা বর্তমান ফোল্ডারের ড্রাইভে ফিরে যেতে চাইলে cd.. টাইপ করে এন্টার চাপুন। এর ফলে পূর্ববর্তী ড্রাইভে অর্থাৎ C:> প্রম্পটে ফিরে আসা যাবে। লক্ষণীয়, এভাবে CD কমান্ডের পরে সম্পূর্ণ পাথ উল্লেখ করে মাল্টিপল ডিরেক্টরিতে নেভিগেট করতে পারবেন খুব সহজেই। যেমন-CD:windowssystem32drivers ফোল্ডারে এক্সেস করার জন্য cd windowssystem32drivers কমান্ড টাইপ করে এন্টার চাপলে সরাসরি কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারে নেভিগেট করবে।
সুইচ এবং কমান্ড হেল্প

কমান্ড প্রম্পটের প্রতিটি কমান্ডের নির্দেশাবলীর জন্য রয়েছে হেল্প সুইচ। খুব সহজেই হেল্পে এক্সেস করা যায় ‘/?’ কমান্ড টাইপ করে। যেমন CD-এর জন্য হেল্প পেতে চাইলে cd ? টাইপ এন্টার করে চাপতে হবে।
লক্ষণীয় কমান্ড এবং সুইচের মধ্যে একটি স্পেস থাকতে হবে। এই হেল্প ফাইল প্রদত্ত কমান্ড সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বর্ণনা দ্রুতগতিতে উপস্থাপন করবে, কমান্ড দেয়ার যথাযথ নিয়মসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য দিকনির্দেশনা দেয়া থাকে।
সুইচ হচ্ছে অপশনাল অতিরিক্ত সেটিং যেগুলো কমান্ড প্রম্পট কমান্ডে ব্যবহার করা যায়, যাতে ভিন্নভাবে আচরণ করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, DIR কমান্ড বর্তমান লোকেশনের লিস্ট অবিরতভাবে স্ক্রলিং করে প্রদর্শন করে। যদি এমন কোনো এক ডিরেক্টরিতে থাকেন যেখানে অনেক ফাইল থাকে যেমন C:WindowsSystem32 তাহলে DIR কমান্ড তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না। এমন অবস্থায় /P সুইচ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে। এই সুইচ ব্যবহারের ফলে ওই ডিরেক্টরির ফাইলসমূহ প্রদর্শিত হলে স্ক্রিনজুড়ে থেমে থেমে অর্থাৎ স্ক্রিনজুড়ে ফাইল প্রদর্শন করা থেমে যাবে যতক্ষণ পর্যন্ত না কীবোর্ডের কোনো কীতে চাপ পড়ছে। অর্থাৎ পেজ বা পেজ ফাইল প্রদর্শিত হবে।
একইভাবে DIR/W সুইচ ব্যবহার করলে ফোল্ডারের লিস্ট প্রদর্শন হবে কয়েকটি কলামে, যাতে করে এক স্ক্রিনে বেশি ফাইল প্রদর্শন করা যায়। একইভাবে এক কমান্ডে একের অধিক সুইচ ব্যবহার করা যায়। যেমন- dir/P Windows/System32 ও dir /S /W /P Windows/System 32.
ফোল্ডার ও ফাইল তৈরি ও ডিলিট করা

কমান্ড প্রম্পট ফোল্ডারটি যথাক্রমে তৈরি ও ডিলিট করা যায় MKDIR এবং RMDIR কমান্ড ব্যবহার করে। MKDIRname> টাইপ করে এন্টার চাপলে ডিরেক্টরি তৈরি হবে। আর RMDIR টাইপ করে এন্টার চাপলে একটি খালি ডিরেক্টরি রিমুভ হবে।
mkdir উইন্ডোজ কম্যান্ড প্রমট এর দুর্দান্ত কিছু ব্যবহার শিখে নিন
কমান্ডের সাথে পাথ উল্লেখ করে কাজের গতিকে আরো বাড়াতে পারেন। যেমন MKDIR Windows/System32/driverCreative.
এক্ষেত্রে C:> প্রম্পট ‘WindowsSystem32drivers’ লোকেশনে তৈরি করবে creative ডিরেক্টরি। লক্ষণীয়, এ ধরনের কমান্ড ব্যবহার করলে ফোল্ডার না থাকলে তৈরি করে নেবে। ডিরেক্টরির মধ্যে কোনো ফাইল ডিলিট করার জন্য DEL কমান্ড ব্যবহার করা যায়। Del এন্টার চাপলে ফাইল মুছে যাবে। আর Del টাইপ করে এন্টার চাপলে ডিরেক্টরির সব ফাইল মুছে যাবে।
উপরে উল্লিখিত কমান্ডগুলো কমান্ড লাইন এনভায়রনমেন্টে সাবলীলভাবে কাজ করার সামান্য কয়েকটি সহজ দৃষ্টান্ত। নিচে আরো কিছু সহায়ক অ্যাডভান্স কমান্ড তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো ছাড়া মূলত অন্য কোনো সহজ উপায় নেই।
Drivequery :

এই কমান্ডের মাধ্যমে কমপিউটার সিস্টেমে ইনস্টল করা সব ড্রাইভারের লিস্ট প্রদর্শন করে।
Ping :
কমান্ড লাইন প্রম্পটে জনপ্রিয় এবং অত্যন্ত কার্যকর এক কমান্ড হলো Ping. এই কমান্ড মূলত ব্যবহার হয় আইপি অ্যাড্রেস চেক করে দেখার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট কমপিউটার অনলাইনে আছে কি না বা যথাযথভাবে সাড়া দিচ্ছে কি না অর্থাৎ আপনার কমপিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব কি না, তা যাচাই করে দেখে।
ipconfig :
এই কমান্ডের মাধ্যমে উন্মোচন করতে পারবেন আপনার কমপিউটারের নেটওয়ার্ক ডাটা, যেমন নেটওয়ার্কে আপনার কমপিউটারের নাম, আপনার আইপি অ্যাড্রেস অথবা আপনার ম্যাক অ্যাড্রেস।
Systeminfo :
এই কমান্ডের মাধ্যমে জানতে পারবেন উইন্ডোজ সিরিয়াল নম্বর, কমপিউটার মডেল ও র্যা ম ইত্যাদিসহ সিস্টেমের ব্যাপক বিস্তৃত তথ্য।

এক শব্দের ফেসবুক নাম


অনেকেই জানতে চেয়েছেন এক শব্দের ফেসবুক নাম কিভাবে দেওয়া যায়। তাই অনেক দিন পর আবার লিখতে বসলাম।

এক শব্দের আইডি তৈরির জন্য আপনার একটি ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি সার্ভার ইউজ করতে হবে। প্রক্সি সার্ভার খুজে না পেলে কমেন্টে বলবেন, আমি দিব। নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।

(১) অন্য ব্রাউজার দিয়েও করা যায়। তবে আমি Mozilla Firefox ইউজ করি বলে সেটা দিয়েই উদাহারন দিলাম। প্রথমে Mozilla Firefox ওপেন করে Option > Advanced > Network > Settings এ যান।

(২) সেখানে Manual Proxy Configuration সিলেক্ট করে HTTP Proxy তে আপনার প্রক্সিটি সেট করুন।

Make One Word Facebook Name এক শব্দের ফেসবুক নাম


(৩) তারপর ফেসবুকের Language Settings-এ Bahasa Indonesia সেট করুন।

Snap 2013 05 16 at 12.10 500x207 এক শব্দের ফেসবুক নাম


(৪) এবার Name Settingsস-এ গিয়ে First Name-এ আপনার পছন্দের নামটি দিন। এবং Last Name খালি রাখুন। যদি আগে ৫ বার নাম পরিবর্তন না করে থাকেন, তাহলে হয়ে যাবে।

Snap 2013 05 16 at 12.13.36 500x237 এক শব্দের ফেসবুক নাম

কম্পিউটার প্রিন্টার মেশিনের জানা অজানা কিছু টিকস,টিপস বা ব্যবহার


কমপিউটার ব্যবহার করে যে প্রোগ্রামেই কাজ করি না কেন আমাদেরকে তৈরি করা ডকুমেন্ট প্রিন্ট করতে হয় প্রায় সব সময়। কোনো ডকুমেন্ট প্রিন্ট করার জন্য বেশিরভাগ প্রোগ্রাম ব্যবহার করে উইন্ডোজ প্রিন্ট ডায়ালগবক্স। আজকের টিউনে উপস্থাপন করা হয়েছে উইন্ডোজ প্রিন্ট ডায়ালগবক্স কিভাবে কাজ করে এবং এর আদ্যোপান্ত। উইন্ডোজ প্রিন্ট ডায়ালগবক্স ব্যবহার করে যথাযথ প্রিন্ট করা যায়। ইদানীং ইউজারদের তৈরি বেশিরভাগ কনটেন্ট পুরোপুরি পাওয়া যায় ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, ওয়েবে ফেসবুক বা টুইটারে, ওয়ার্ড, ফটো পাওয়া যায় ফ্লিকারে এবং এ ধরনের অনেক। তার পরও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ডকুমেন্ট বা ফটো প্রিন্ট করতে হয় আমাদের হাতে রাখার জন্য।
এ লেখায় ব্যবহারকারীর উদ্দেশে তুলে ধরা হয়েছে উইন্ডোজের বেসিক প্রিন্ট ডায়ালগবক্স যা প্রতিদিনের প্রোগ্রামে ব্যবহার হয়, যেমন- ওয়ার্ডপ্যাড। এ ছাড়া এখানে আরো দেখানো হয়েছে এক্সটেনডেড বা সম্প্রসারিত একটিকে যা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং ব্যাখ্যা করে দেখানো হয়েছে অন্যসব অপশন।
বেসিক ডায়ালগবক্স

প্রথমে শুরু করা যাক বেসিক প্রিন্ট ডায়ালগবক্স নিয়ে। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ওয়ার্ডপ্যাডকে, কেননা এটি উইন্ডোজের প্রতিটি সাম্প্রতিক ভার্সনে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। Start মেনুতে ক্লিক করে Accessories folder-এ নেভিগেট করে সিলেক্ট করুন WordPad প্রোগ্রাম চালু করার জন্য। এবার কয়েক প্যারাগ্রাফ টেক্সট টাইপ করুন। উইন্ডোজ এক্সপি এবং ভিস্তার ক্ষেত্রে File মেনুতে ক্লিক করে Print সিলেক্ট করলে একটি ডায়ালগবক্স ওপেন হবে। উইন্ডোজ ৭-এর ক্ষেত্রে WordPad বাটনে ক্লিক করুন (এটি অফিস বাটনের সমতুল্য) এবং ড্রপ ডাউন মেনু থেকে Print অপশন বেছে নিন।
ডায়ালগবক্সের ওপরের অর্ধেক অংশ উপস্থাপিত হয় ইনস্টল করা যেকোনো প্রিন্টারের আইকন। এর মধ্য থেকে একটি আইকনে টিক চিহ্ন থাকে, যা উইন্ডোজ প্রোগ্রাম ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহার করে। Add Printer উইজার্ডে এখান থেকে অ্যাক্সেস করা যায়, যা ইনস্টলেশন সিডি ছাড়া কোনো প্রিন্টার সেটআপ করার ক্ষেত্রে দরকার হয়।
printer কম্পিউটার প্রিন্টার মেশিনের জানা অজানা কিছু টিকস,টিপস বা ব্যবহার
উইন্ডোজের কোন ভার্সন ব্যবহার হচ্ছে এবং কিভাবে তা সেটআপ করা হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে এক বা একাধিক আইকন থাকতে পারে। সাধারণত এগুলো লেবেল করা থাকে Microsoft Document Image Writer, Microsoft XPS Document Writer or Fax-এর মধ্যে যেকোনো একটি।
এখানে প্রথম দুটি অপশন ডকুমেন্টকে কাগজে প্রিন্ট করার পরিবর্তে একটি ফাইলে রূপান্তর করে যাতে অন্যান্য পিসি ব্যবহারকারী ডকুমেন্ট পড়তে পারে। এমনকি অন্যান্য ব্যবহারকারীর কাছে যদি মূল প্রোগ্রামের কপি না থাকে যা দিয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে তা না থাকলেও পড়া যাবে। আর Fax অপশন বেছে নেয়া হবে পিসিকে ফ্যাক্স পাঠাতে সহায়তা করা, যদি ফ্যাক্স মডেম পিসির সাথে সম্পৃক্ত বা কানেকটেড থাকে।
এর নিচে রয়েছে ‘Print to file’ অপশন যার পাশে একটি টিক বক্স রয়েছে। এটি একটি পুরনো ফিচার, যা ব্যবহারকারীকে কোনো কিছু ফাইল হিসেবে সেভ করার জন্য এনাবল করে। এই ফাইলকে পরে প্রিন্ট করা যায়। তবে দুর্ভাগ্যজনক, আধুনিক ইউএসবি প্রিন্টারে এই অপশনটি কাজ করে না। সুতরাং এই অপশন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
পেজ রেঞ্জ এবং কপি

সাধারণত বাইডিফল্ট উইন্ডোজ একটি ডকুমেন্টের প্রতিটি পেজ একবার প্রিন্ট করে। তবে এটি পরিবর্তন করা যায়। ইচ্ছে করলে ডকুমেন্টের কিছু অংশ প্রিন্ট করা যায়। এজন্য প্রথমে প্রিন্ট ডায়ালগবক্স বন্ধ করুন এবং কোনো প্যারাগ্রাফ টেক্সট হাইলাইট করুন। এবার আবার Print ডায়ালগবক্স ওপেন করুন। এতে Selection রেডিও বাটন সক্রিয় হবে, যা সিলেক্ট করা টেক্সটকে প্রিন্ট করবে।
আপনি ইচ্ছে করলে Pages বক্সে পেজ নম্বর উল্লেখ করে দিয়ে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক পেজ প্রিন্ট করতে পারবেন। ওয়ার্ড ২০০৩-এ File মেনুতে ক্লিক করে Print-এ ক্লিক করতে হবে। আর ওয়ার্ড ২০০৭-এ Office বাটনে ক্লিক করে Print বেছে নিতে হবে।
ধরুন, আপনি একটি ডকুমেন্ট থেকে ৩, ৬, ৯ এবং তারপর ১২, ১৩, ১৪ এবং ১৫ নম্বর পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে Page Range সেকশন ডায়ালগবক্সে ওই পেজগুলো নিদিষ্ট করে Page-এর পাশে রেডিও বাটনে ক্লিক করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো স্পেস না দিয়ে ৩,৬,৮,১২-১৫ টাইপ করে Ok বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর ফলে ওয়ার্ড শুধু নিদিষ্ট করা অর্থাৎ নির্দিষ্ট করা ওই পেজগুলো প্রিন্ট করবে।
লক্ষণীয়, ওয়ার্ডপ্যাডে Current Page অপশন তেমন কোনো কাজ করে না, তবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে চমৎকারভাবে কাজ করে। এ সম্পর্কে পরে আলোচনা করা হয়েছে। যদি কোনো ডকুমেন্টের মাল্টিপল কপি প্রিন্ট করার দরকার হয়, তাহলে ‘Numbers of Copies’ বক্সে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এর ফলে Collate অপশন সক্রিয় হয়। এটি সিলেক্ট করলে ডকুমেন্টের সব পেজ একবার প্রিন্ট হয় বাড়তি কপি প্রিন্ট করার আগে। টিক চিহ্ন অপসারণ করলে ১ নং পেজের সব কপি হবে, এর পর ২ নং পেজের সব কপি প্রিন্ট হবে এবং এভাবে বাড়তি কপিগুলো প্রিন্ট হবে।
প্রোপার্টিজ

প্রোপার্টিজ বাটন একটি ডায়ালগবক্স ওপেন করে সিলেকটেড প্রিন্টারের জন্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ক্যানন i455 ইঙ্কজেট প্রিন্টারের অপশন এইচপি লেজারজেট প্রিন্টার থেকে ভিন্ন হবে। যাই হোক, উভয়ই বেসিক ফিচার নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন- পেজ ল্যান্ডস্কেপ বা পোর্ট্রেট, প্রিন্ট কোয়ালিটি, পেপার টাইপ ও সাইজ ইত্যাদি।
এক্সটেনডেড ডায়ালগবক্স

কিছু কিছু প্রোগ্রাম যেমন ওয়ার্ডের প্রিন্ট ডায়ালগবক্স বেশ আকর্ষণীয়। এতে সম্পৃক্ত করা হয়েছে উপরিল্লিখিত ফিচারসহ বাড়তি কিছু ফিচার। উদাহরণস্বরূপ, Zoom ব্যবহার করা যেতে পারে একটি সিঙ্গেল সিটে কতগুলো পেজ প্রিন্ট হবে তা নির্দিষ্ট করার জন্য। তেমনি নির্দিষ্ট পেপার সাইজ স্কেলিং করে ডকুমেন্ট ফিট করা যায় যাতে যথাযথ সাইজে ডকুমেন্ট প্রিন্ট হয়। এ ফিচারটি অনেকটা ফটোকপিয়ারের এনলার্জ/ রিডিইউজের মতো। এতে শুধু জোড় বা বিজোড় পেজ প্রিন্ট করার অপশনও রয়েছে। রয়েছে বিহাইন্ড-দ্য-সিন উপাদান যা মাল্টিপল ব্যবহারকারীদের জন্য প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে যারা একযোগে কমপ্লেক্স ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য। আরো রয়েছে ‘Print to file’-এ অন্তর্গত অপশন যা ‘Manual duplex’ হিসেবে পরিচিত। কিছু প্রিন্টার রয়েছে যা পেপারের উভয় দিক প্রিন্ট কতে পারে (automatic duplex printing) যেখানে অন্য পেজ প্রিন্ট করার জন্য হাত দিয়ে (manual duplex) উল্টিয়ে দিতে হয়। এই অপশন প্রিন্টার সমর্থিত যা সাধারণত চেক করা যায় Print ডায়ালগবক্সের Properties বাটনে ক্লিক করে। সবশেষে Current Page অপশন ওয়ার্ডে কাজ করে এবং প্রিন্ট করে শুধু সিলেক্ট করা পেজ।

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More