আসসালামু আলাইকুম

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

এবার নিজেই তৈরি করুন রিংটোন এবং আরো অনেক কিছু!

অনেকেই তাদের মোবাইলে রিংটোন লোড করার জন্য ছুটে যান অডিও দোকানে। তারপর টাকার বিনিময়ে বাগিয়ে নেন গুটিকয়েক রিংটোন। তবে আপনি চাইলে আপনার পিসি দিয়েই রিংটোন বানাতে পারেন (আমার মতো)।

আপনার পিসি দিয়ে রিংটোন বানাতে চাইলে আপনার যা যা লাগবেঃ

১। একটি স্পিকার/হেডফোন সহ একটি কম্পিউটার।
২। একটি গান বা যেকোন অডিও ফাইল। (যেটা থেকে রিংটোন বানাবেন)
৩। Create Ringtone নামক একটি ছোট্ট সফটওয়্যার।
সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিংক পোষ্টের শেষে দেওয়া আছে। আগে দেখুন , পরে পছন্দ হলে ডাউনলোড করিয়ে নিবেন।
যেভাবে রিংটোন বানাবেনঃ
১। প্রথমে Create Ringtone সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে ফুল ভার্সন একটিভ করে নিয়ে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। নিচের মত একটি বক্স আসবে।

২। এখন সরাসরি Ringtone লেখায় ক্লিক করুন। ক্রিয়েট রিংটোন অডিও কনভার্টটার সফটওয়্যারটি ওপেন হবে।

৩। ফাইল থেকে ওপেন কমান্ড দিন।
ওপেন ডায়ালগ বক্স আসলে আপনার পছন্দের একটি অডিও ফাইল সিলেক্ট করুন যেটি কে রিংটোন এ রুপান-র করবেন।
৪। ফাইলটি ওপেন করলে নিচের মত আসবে।

5। এখানে দেখছেন যে , অডিও ফাইলটি চিত্রাকারে ওপেন হয়েছে। এখন আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, গ্রাফের যেকোন জায়গায় মাউসের বাম বাটনটি ক্লিক করে ড্রাগের মাধ্যমে একটি সিলেক্টশন তৈরি করুন। এই সিলেক্টশনকৃত অংশটুকুই হলো রিংটোন।

৬। এখন কয়েকটি বিষয়ের দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে। প্রথমত, আপনি যেই সিলেক্টশন টি তৈরি করলেন সেটি গানের / অডিও ফাইলের আপনার পছন্দ মত হয়েছে ত?? এটা জানার জন্য উপরের টুলবারের ডান দিকের প্রথম প্লে -বাটনে ক্লিক করতে হবে। এটিতে ক্লিক করলে শুধুমাত্র সিলেক্টকৃত অংশটি বাজবে।

৭। এখন যদি আপনার সিলেক্টকৃত অংশটি আপনার পছন্দ না হয় তবে সিলেক্টশনের মাঝখানে কার্সরটি নিয়ে গানটির / অডিও ফাইটির আগে / পিছে নিতে পারেন এবং সিলেক্টশন টি বাজাতে পারেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গানটির / অডিও ফাইলটির মধ্যে রিংটোন এর জন্য আপনার পছন্দের অংশটি বাছুন।
৮। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, রিংটোন এর দৈর্ঘ্য কতটুকু হবে?
এটি নির্ভর করছে আপনার উপর। সাধারণত একটি ফোনকল ৩০ সেকেন্ড ধরে বাজে। সেই হিসেবে রিংটোন এর সাধারণ দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩০ সেকেন্ড।
আপনি যেই সিলেক্টশনটি তৈরি করলেন সেটির দৈর্ঘ্য আপনি সর্বনিচে দেখতে পারবেন।

৯। এখন হলো সেভ এর পালা।
সিলেক্টকৃত ফাইলটি সেভ করার আগে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে আপনি কি ফরমেটে ফাইলটি সেভ করবেন।
mp3 & wav এর যেকোন একটি কে রিংটোন ফরমেট হিসেবে বাছুন।
ক) mp3 ফরমেটে সেভ করতে চাইলে আগে নিচের দিকের কনফিগারেশন মেনু থেকে এম.পি.৩ ফরমেট টি কনফিগার করে নিন।

এখানে বিটরেট যত বেশি দিবেন রিংটোনটির অডিও কোয়ালিটি তত ভাল হবে এবং ফাইলের সাইজ বাড়বে। সাধারণত ১২৮ কেবিপিএস দিলেই হয়।

খ) wav ফরমেটে সেভ করতে চাইলে আগে নিচের দিকের কনফিগারেশন মেনু থেকে ওয়াভ ফরমেট টি কনফিগার করে নিন
১০। mp3 & wav এর কনফিগারেশন ঠিক করা হয়ে গেলে এখন শুধু রিংটোনটি সেভ করার পালা। যথানিয়মে টুলবার থেকে ফ্লপি-ডিস্ক আইকনে ক্লিক করে অথবা ফাইল মেনু থেকে Save my ringtone অথবা Ctrl+S কমান্ড দিন।
রিংটোন ফাইলটির নাম এবং ফাইলটির টাইপ (mp3 or wav) নির্ধারণ করে রিংটোন টি সেভ করুন।
এই তো, হয়ে গেল। নিজেই তৈরি করে ফেললেন রিংটোন! :D
এতক্ষণ শুধু সফটওয়্যারটির রিংটোন কনর্ভাটার নিয়ে ”বক বক” করছিলাম, এখন সফটওয়্যারটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিয়েও হালকা-পাতলা ”বক বক” করি!!
সফটওয়্যারটি শুধুমাত্র রিংটোন এর জন্য তৈরি করা হয় নি। এ সফটওয়্যারটির দ্বারা আপনি একই সাথে অনেক কাজ করতে পারবেন। যেমনঃ
১। যেকোন অডিও ফরমেট এর ফাইলকে এমপি৩ / ওয়াভ ফরমেটে কনর্ভাট করতে পারবেন।
২। এমপি৩ থেকে ওয়াভ কিংবা ওয়াভ থেকে এমপি৩ তে কনর্ভাট করতে পারবেন।
৩। আপনার পিসিতে ব্লু-টুথ এডাপটারের মাধ্যমে বা ল্যাপটপের ব্লু-টুথ এর মাধ্যমে এই সফটওয়্যার আপনার মোবাইলে সরাসরি রিংটোন / যেকোন ফাইল পাঠাতে পারে।
এছাড়াও এই সফটওয়্যারে রয়েছে আরো দুটি এক্সটা ফিচার রয়েছে। আর তা হল Wallpaper Converter & WAP.
WAP ফিচার টি ব্যবহার করতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে এবং আরো কিছু ”ঝামেলা”র কাজ রয়েছে। তাই এটি ব্যবহার না করাই ভাল। (এটাকে আমি ”খানদানী” ফিচার বলে থাকি!)
এখন আসেন Wallpaper Converter এ। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এইটার কাজ কি। এই ফিচার এর দ্বারা আপনার পিসিতে সংরক্ষিত ছবি/ওয়ালপেপার সমূহকে আপনার মোবাইলের ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারেন।

তো দেখলেন তো অনেক কাজের কাজি এই সফটওয়্যারটি।
এবং এই সফটওয়্যারটির ডাউনলোড সাইজ মাত্র ২.৫০ এমবি। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড লিংকঃ (২.৫০ এম.বি.)

অল ইন ওয়ান মোবাইল ভিডিও কনভার্টার।

আমরা অনেকেই মোবাইলে বিভিন্ন গান/মুভি/ভিডিও ফাইল লোড করি। এর জন্য বিভিন্ন ধরণের ভিডিও কনভার্টার সফটওয়্যার ব্যবহার করি। এদের মধ্যে আমার মতে সবচেয়ে ভাল একটি কনভার্টার সফটওয়্যার হল “অল ইন ওয়ান মোবাইল ভিডিও কনভার্টার ’’। এই সফটওয়্যারটির বৈশিষ্ট্য এতে বিভিন্ন রকম মোবাইলের ভিডিও (যেমন, এম.পি ৪, থ্রি.জি.পি, এ.ভি.আই ইত্যাদি) ফরমেটের সুবিধা অটোমেটিক্যালি যুক্ত আছে। এর মানে আপনি শুধু আপনার মোবাইল মডেল টি নির্বাচন করবেন তারপর সফটওয়্যারটি নিজে নিজেই আপনার সেটের জন্য ভিডিও ফরমেটে কনভার্ট করে নিবে।
সফটওয়্যারটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। সাইজ মাত্র ৪.৫০ এম.বি। এর সাথে একটি রেজিষ্টেশন ফাইল দেওয়া আছে। সফটওয়্যারটি ইনষ্টল এর পর রেজিষ্টেশন ফাইলে ক্লিক করে ফুল ভার্সনটি একটিভ করে নিবেন।
এখন আমি দেখাচ্ছি যে কিভাবে সফটওয়্যারটি ইনষ্টল থেকে কনভার্ট করবেন।
ডাউনলোড এবং ইনষ্টলেশনঃ
১। প্রথমে উল্লেখিত লিংক হতে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
২। জিপ ফাইল টি আনজিপ করুন।
৩। স্বাভাবিক নিয়মে সফটওয়্যারটি পিসিতে ইনষ্টল করুন।
৪। এবার ডাউনলোড কৃত ফোল্ডারে Reg.File এ ডাবল ক্লিক করে ওকে বাটনে চেপে ফুল ভার্সনটি একটিভ করুন।
ভিডিও কনভার্টঃ
১। প্রথমে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন।
1
২। সবার বামে ইনপুট ডায়ালগ বক্সে এড বাটনে ক্লিক করে আপনার পছন্দের ভিডিও ফাইলটি সিলেক্ট করুন যেটি আপনি কনভার্ট করতে চান।
2
৩। এখন আউটপুট ডায়ালগ বক্স থেকে মোবাইল>মেনুফেকচার থেকে আপনার মোবাইল কোম্পানির নাম (যেমন নোকিয়া)> মডেল থেকে আপনার সেটের মডেল সিলেক্ট করুন
3
৪। এখন ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটি অপশনে আপনার পছন্দ মত অপশন সিলেক্ট করুন।
44444
৫। এখন Save Files to folder অপশন থেকে ব্রাউজ করে আপনার কনভার্ট কৃত ফাইলটি কোথায় সেভ হবে তা সিলেক্ট করে দিন। এবার সবার নিচে কনভার্ট বাটনে ক্লিক করুন।
5
৬। এখন ফাইলটি কনভার্ট হওয়া পযর্ন্ত অপেক্ষা করুন।
66
৭। সবশেষে আপনি যেখানে ফাইলটি সেভ করেছেন সেখানে দেখুন আপনার ফাইলটি আপনার মোবাইলের জন্য উপযুক্ত হয়ে সেভ হয়ে আছে।
উল্লেখিত পদ্ধতিতে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কমেন্টর মাধ্যমে আমাকে জানান।
ধন্যবাদ।

আসুন এবার নতুন এবং ব্যাতিক্রম একটি প্রিভেসি সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হই

২০১১ সালে আমি একটি ফোল্ডার লকার সফটওয়্যার বানিয়েছিলাম। এতদিন ভাবতাম মানুষ মনে হয় হাসাহাসি করবে, তাই কাউকে বলি নি। আজ ভাবলাম যেহেতু আমি আর আপু এতদিন ধরে ইউজ করে আসছি কোন সমস্যা ছাড়া তাহলে অন্যদের সাথেও শেয়ার করি। আসুন দেখি সফটওয়্যার টি।

Folder Locker 1.0 – Tiny but Xtremely powerful privacy software
shovik_folder_locker
shovik_folder_locker
shovik_folder_locker

এতে নতুন কি আছেঃ
১) মাত্র ১ এমবি সফটওয়্যার যা আপনার হার্ডডিস্কের একটুখানি যায়গা নিবে।
২) যতগুলো ফোল্ডার লক করবেন সবগুলোতে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন (অন্যান্য সফটওয়্যারগুলোতে সাধারণত একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড থাকে যেটি দিয়ে সব ফোল্ডার লক করা লাগে)। একটি মাস্টার পাসওয়ার্ডও থাকবে, কোন ফোল্ডারের ইন্ডিভিজুয়াল পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে এই মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে সফটওয়্যারের মেইন ইন্টারফেস থেকে ফোল্ডারটি আনলক করতে পারবেন। অর্থাৎ কোন ফোল্ডারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও সমস্যা নাই।
৩) কোন ফোল্ডার লক করার পর যদি আপনি নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ করেন তাও ফল্ডার লক করা থাকবে এবং নতুন করে Folder Locker ইন্সটল করে আনলক করতে পারবেন।
৪) লক করা ফোল্ডার অন্য কোন কম্পিউটারে বা অন্য কোন অপারেটিং সিস্টেমে (লিনাক্স বা ম্যাক) নিয়ে গেলেও খুলবে না।
৫) সম্পূর্ণ বিনা মুল্যের।
৬) উইন্ডোজ এক্সপি থেকে উইন্ডোজ ৮ পর্যন্ত সব উইন্ডোজ সংস্করণ সমর্থন করে।
৭) এখন পর্যন্ত কোন বাগ পাই নি।
৮) আরো মেলা কিছু এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
মাত্র ১এমবি একবার ট্রাই তো করে দেখুন, ভাল লাগতেও তো পারে। নিচের লিংক থেকে নামিয়ে নিন সেটআপ সফটওয়্যারটি
Folder Locker 1.0_by_shovik_chowdhury.zip
নামিয়ে ইন্সটল করে নিন। প্রথমবার অন করলে পাসওয়ার্ড চাবে। পাসওয়ার্ড হিসেবে “Admin” লিখুন। এবার User Settings থেকে পাসওয়ার্ড বদলাতে পারবেন। কোন সমস্যা বা মন্তব্য কমেন্টে লিখবেন প্লিজ…

DCE Tools ফটোশপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাগ-ইন {A-Z}

বাই আমার সালাম/নমস্কার নিবেন। আশা করি সবাই ভালো আসেন!! আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোশপের প্লাগ-ইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। প্লাগ-ইন টি প্রফোশনাল ফটোগ্রাফাররা ব্যবহার করে থাকেন। ছবিকে উজ্জ্বল, অটো কালার সেটিং, ছবিতে লাইটিং সেটিং, ছবি অটো ফিনিশিং, ছবি হতে দাগ অপসারন করা সহ ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই প্লাগ-ইন টি দ্বারা করা যায়।

প্রথমে এই লিংঙ্ক থেকে প্লাগ-ইন টি ডাউনলোড করে নিন।
আর হ্যাঁ প্লাগ-ইনটির সাথে সিরিয়াল কি সহ দেওয়া আছে।
সম্পূর্ণ ফাইলে সাইজ মাত্র ১.৭৯ এমবি।

ইনস্টল করার পদ্ধতি

ডাউনলোড করা ফাইলটি প্রথমে আনরার করুন। তারপর Setup ফাইলটি ডাবল ক্লিক করে ওপেন করি।
তারপর Yes এ ক্লিক করতে হবে।
 দীপ্ত


তারপর Next এ ক্লিক করুন।
দীপ্ত (1)

পরবর্তী চার্ট আসলে উপর থেকে Adobe Photoshop সিলেক্ট করে Install এ ক্লিক করুন।
দীপ্ত (2)

সবশেষে Finish এ ক্লিক করুন।
দীপ্ত (3)

কিভাবে প্লাগ-ইন টি রান করবেন ?


ফটোশপ ওপেন করে মেনু থেকে Fitter এ ক্লিক করে DCE Tools থেকে ইচ্ছা মত অপশন নির্বাচন করে কাজ শুরু করে দিন।


এবার চলুন DCE Tools প্লাগ-ইন দিয়ে করা কিছু কাজ দেখি
tutorial (2)
tutorial (10) tutorial (8)
তাও যদি প্লাগ-ইন টি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা যদি না বুঝতে পারেন তাহলে এখানে ক্লিক করুন অথবা ইউটিউব এ DCE Tools লিখে সার্চ দিন আশা করি পারবেন।

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More