আসসালামু আলাইকুম

বুধবার, ৮ মে, ২০১৩

শর্টকাটে CSS শিখুন প্রেক্টিকেল ক্লাস ১৪ (CSS দিয়ে calendar তৈরি)


কিছুদিন লিখা হয়নি ব্যস্ততার কারনে আসা করি সকলে ভালো আছেন? সিএসএস টিউটোরিয়াল এর ১৪ তম পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আসা করি নিয়মিত আমার সাথে ক্লাস করছেন এবং প্রতিদিন প্র্যাকটিস করছেন নিয়মিত? আজকে আমি একটি মারাত্মক সুন্দর ক্যালেন্ডার তৈরি করা শিখাবো আপনাদের। এই সিএসএস টিউটোরিয়াল টি দেখে দেখে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট এর জন্য চমৎকার এই ক্যালেন্ডার টি তৈরি করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন এটির কোডিং গুলো শিখে নেয়া যাক আর দেরি না করে এখুনি। চমৎকার এই ক্যালেন্ডার টীতে ক্লিক করলেই দেখবেন সুন্দর করে ওপেন হচ্ছে তারিখ অনুযায়ী পোস্ট বা ইভেন্ট গুলো দেখতে পারবেন। অবশ্যই ভালো লাগবে। ডাউনলোড করেই দেখুন কোডিং মানে সোর্স ফাইল টি।
calender শর্টকাটে CSS শিখুন প্রেক্টিকেল ক্লাস ১৪ (CSS দিয়ে calendar তৈরি)
দুঃখিত আজকে কোডিং গুলো এখনে দেয়া যাচ্ছে না কাজ করছে না কোডিং সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই আমি ফাইল আপলোড করে দিয়েছি সম্পূর্ণ কোডিং সহ ডাউনলোড করে নিন। এখনে ২টি ফাইল আছে একটির নাম index.html এটি ওপেন করলেই আপনি সম্পূর্ণ ক্যালেন্ডার টি ব্যবহার করতে পারবেন এবং লাইভ দেখে নিতে পারবেন। তার পর ফাইলটি নোটপ্যাড দিয়ে ওপেন করলেই সমস্ত কোডিং গুলো দেখে নিতে পারছেন। আরেকটি ফাইল আছে স্টাইল নামে সেখনে সমস্ত সিএসএস কোডিং গুলো আছে।
ডাউনলোড করুন এখনে। calendar

ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect …


আজকে আমার শিখব কিভাবে Photoshop ব্যবহার করে পানির ফোঁটার মত Effect আনা যায়। প্রথমে আমরা দেখে নিই আমাদের আজকের কাজের ফলাফলঃ
011 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
এটায় আমি Adobe Photoshop CS6 ভার্সন ব্যবহার করেছি। তবে যাদের এটা নেই তাদের দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই। অপশনগুলো একটু হয়ত ওলট-পালট থাকতে পারে কিন্তু সব অপশনই আছে।
এবার শুরু করা যাকঃ প্রথমে আমরা 1000 x 500 pixels এর একটি নতুন Document নিব।
021 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
এরপর আমার দেওয়া চিত্রের মত একটা ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেক্ট করুন এবং সেটাকে নতুন ‍তৈরী করা Document এর উপর ড্রাগ করে এনে ছেড়ে দিন বা আপনার পছন্দ মত একটি কালার দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডটিকে ফিল করে ফেলুন। এবার টুল বক্স হতে Horizontal Type Tool সিলেক্ট করে করে লিখুন Tunerpage। Font Size 350 pt এবং Font Style দিন Cooper Black।
02a ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
ব্যাস আমাদের প্রাথমিক কাজ শেষ এবার আমাদের মূল কাজ। এখন ম্যানুবার থেকে Layer – Layer Style – Blending Options সিলেক্ট করুন এবং নীচের চেত্রের মত প্রত্যেকটি ধাপ ভালভাবে লক্ষ্য করুণ। এখানে বিস্তারিত অনেক বেশি তাই আমি চিত্রের মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করলাম আর আমি যে যে অপশনগুলো পরিবর্তন করেছি আপনারও হুবহু সেটাই করবেন।
03 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
04 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
05 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
06 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
07 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
তাহলে কাঙ্খিত Effect টি পাওয়া গেল। এবার নীচের দিকে যে কয়েকটি ফোটা ও পানির মত দেখা যাচ্ছে সেটা করব।
Layer ম্যানু থেকে নুতন একটি লেয়ার নিন এবং নীচের চিত্রের মত ব্রাশ টুল নিন।
08 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
এবার নতুন তৈরী করা Layer সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Document এ ক্লিক করুন (কালার এ কোন সমস্যা নেই যে কোন কালার হতে পারে) এবং ব্রাশ ছোট বড় করে আমি যেভাবে সেপ আকার চেষ্টা করেছি সেভাবে আঁকতে চেষ্টা করুন। ফোটা ও সেপতো আকঁলেন কিন্তু Effect কোথায়, চলুন সেটাও করে ফেলি কিন্তু আগের মত এত কষ্ট করতে হবেনা। আমরা শুধু আগের Layer থেকে Effect টা কপি করে এই Layer এ পেষ্ট করব। এর জন্য আমরা টেক্সট লেয়ারে কারসর রেখে মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে ম্যানু থেকে Copy Layer Style এবং একইভাবে ওই Layer এ গিয়ে Past Layer Style দিন।
09 ফটোশপে তৈরী করুন Water Drop Effect ...
এখন মনে হয় আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত Effect টি দেখতে পাচ্ছেন। তাহলে আজকের মত শেষ করছি। আগমীতে হয়ত আবার দেখা হবে। সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ্য থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

উইন্ডোজ এক্সপি বুট না হলে করণীয় কিছু পদক্ষেপ ট্রিকস বা টিপস


নানা কারনে উইন্ডোজ এক্সপি অনেক সময় বুট হয়না বা চালু হয়না এর পেছনে রয়েছে নানান সব কারন সমূহ। ব্যবহারকারীরা চেষ্টা করে দেখতে পারেন কেনো উইন্ডোজ এক্সপি বুট হচ্ছে না এবং সে অনুযায়ী কাজ করে সিস্টেমকে বুট করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। আসা করি কাজে লাগবে আপনার।
নষ্ট হওয়া Boot.ini ফিক্স করা

যেহেতু উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম চালু হয় লোড হবার জন্য। Ntldr প্রোগ্রাম Boot.ini ফাইলকে নির্দেশ করে কোথায় অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল অবস্থান করে এবং কোন অপশনকে অ্যানাবল রাখতে হবে যাতে অপারেটিং সিস্টেম লোড হতে থাকবে। সুতরাং কোনো সমস্যা যদি Boot.ini ফাইলে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, তাহলে এটি উইন্ডোজকে যথাযথভাবে বুটিংয়ের অক্ষম করে দেয়।
যদি আপনি মনে করেন বুটিংয়ের ফাইল নষ্ট হবার কারণেই উইন্ডোজ এক্সপি বুট হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সমস্যা ফিক্স করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ ধরনের রিকোভারি কন্সোল ভার্সন Bootcfg টুল। এজন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথমে সিস্টেম বুট করতে হবে উইন্ডোজ এক্সপি সিডি দিয়ে এবং রিকোভারি কন্সোলে এক্সেস করতে হবে। উইন্ডোজ এক্সপি সিডি দিয়ে সিস্টেম বুট করতে চাইলে নিচে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
সিডি-রম ড্রাইভে উইন্ডোজ এক্সপি সিডি ঢুকিয়ে Ctrl+Alt+Delete কী চাপতে হবে কমপিউটারকে রিবুট করার জন্য। সিস্টেম সিডি থেকে বুট হবার পর প্রম্পট অনুসরণ করুন, যা সেটআপ রান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক ফাইলগুলো লোড করবে। ওয়েলকাম স্ক্রিন পর্দায় আবির্ভূত হলে R চাপুন রিকোভারি কন্সোল চালু করার জন্য।
রিকোভারি কন্সোল মেনু প্রদর্শন করে ফোল্ডার যা ধারণ করে অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইল এবং যে অপারেটিং সিস্টেমে লগ করতে চান, তা সিলেক্ট করার জন্য প্রম্পট করবে। এক্ষেত্রে মেনু নম্বর চাপলেই কাজ হবে। এরপর অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার করলেই রিকোভারি কন্সোল পাবেন।
এবার রিকোভারি কন্সোল কমান্ড প্রম্পট থেকে Bootcfg টুল চালু করতে হবে। Bootcfg কমান্ডটি ব্যবহার হয় বুট কনফিগারেশন ও রিকোভারির জন্য। বেশিরভাগ কমপিউটারে এক্ষেত্রে ব্যবহার হয় Boot.ini ফাইল। Bootcfg চালু করতে চাইলে Bootcfg /Parameter টাইপ করে এন্টার চাপুন। এখানে প্যারামিটার বলতে নিচে বর্ণিত প্যারামিটারগুলোর মধ্যে একটিকে বোঝাচ্ছে :
* Bootcfg /Add>বুট লিস্টে উইন্ডোজ ইনস্টলেশন যুক্ত করা ।
* Bootcfg /scan> উইন্ডোজ ইনস্টলেশনের জন্য সব ডিস্ক স্ক্যান করে এবং ফল প্রদর্শন করে।
* Bootcfg /List>Boot.ini ফাইলে প্রতিটি এন্ট্রির লিস্ট করে।
* Bootcfg /Default>মূল বুট এন্ট্রি হিসেবে সেট করে ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম।
* Bootcfg /Rebuild>Boot.ini ফাইল সম্পূর্ণরূপে নতুনভাবে তৈরি করে ব্যবহারকারীকে প্রতিটি ধাপ নিশ্চিত করতে হবে।
* Bootcfg /Redirect> সুনির্দিষ্ট কনফিগারেশন সম্বলিত বুট লোডারে রিডিরেকশন অ্যানাবল করে। যেমন, Bootcfg /redirect com1 115200 এবং bootcfg /redirect useBiosSettings।
* Bootcfg /Disableredirect>বুট লোডারে রিডিরেকশনকে ডিজ্যাবল করে।
করাপ্ট হওয়া পার্টিশন বুট সেক্টর ফিক্স করা

পার্টিশন বুট সেক্টর হলো হার্ডডিস্ক পার্টিশনের একটি ছোট অংশ, যা ধারণ করে অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল সিস্টেমের তথ্য যেমন- এনটিএফএস ও ফ্যাট৩২। যেহেতু এটি খুব ছোট মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম, যা অপারেটিং সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যকারী হিসেবে লোড হয়। যদি আপনি মনে করেন, পার্টিশন বুট সেক্টরের করাপ্ট বা নষ্ট হওয়ার জন্য উইন্ডোজ এক্সপি কাজ করছে না, তাহলে বিশেষ ধরনের রিকোভারি কন্সোল টুল ব্যবহার করতে পারেন, যা Fixboot হিসেবে পরিচিত। এই টুল সমস্যা ফিক্স করার জন্য ব্যবহার হয়। উইন্ডোজ এক্সপি সিডি সহযোগে সিস্টেম বুট করুন এবং রিকোভারি কন্সোলে এক্সেস করুন।
রিকোভারি কন্সোল কমান্ড প্রম্পট থেকে Fixboot ব্যবহার করতে চাইলে টাইপ করুন Fixboot [drive name].
এখানে ড্রাইভ নেম বলতে সেই ড্রাইভকে বুঝানো হয়েছে, যেখানে আপনি নতুন পার্টিশন বুট সেক্টরকে রাখতে চাচ্ছেন।
অটোমেটিক রিস্টার্ট ডিজ্যাবল করা

যখন উইন্ডোজ মারাত্মক এররের মুখোমুখি হয়, তখন এই এররকে হ্যান্ডেল করার জন্য উইন্ডোজের ডিফল্ট সেটিং সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিবুট করে। যদি এক্সপি বুটের সময় এই এরর সংঘটিত হয়, তাহলে অপারেটিং সিস্টেম রিবুট সাইকলের মধ্যে থেমে যাবে স্বাভাবিক রিস্টার্টের পরিবর্তে। এক্ষেত্রে automatically restarting on system failure অপশনকে ডিজ্যাবল করতে হবে।
উইন্ডোজ এক্সপি বুটআপের সময় একটি মেসেজ দেখা যায় Please select the operating system to start বা বিপ সিগন্যাল শোনা গেলে F8 ফাংশন কী চাপুন উইন্ডোজ অ্যাডভান্সড অপশন মেনু প্রদর্শন করার জন্য। এর পর সিলেক্ট করুন Disable the Automatic Restart On System Failure অপশন এবং এন্টার চাপুন। উইন্ডোজ থেমে যাবে যখনই কোনো এররের মুখোমুখি হবে এবং মেসেজ ডিসপ্লে¬ করবে।
ইন-প্লেস আপগ্রেড কার্যকর করা

যদি এক্সপি সিস্টেম রিপেয়ার করতে ব্যর্থ হন এবং আপনার কাছে সাম্প্রতিক ব্যাকআপ নেই, তাহলে কার্যকর করতে পারেন ইন-প্লেস (in-place) আপগ্রেড। এ কাজ করার জন্য একই ফোল্ডারে অপারেটিং সিস্টেমকে রিইনস্টল করতে হবে। মনে হবে আপনি সিস্টেমকে উইন্ডোজের এক ভার্সন থেকে আরেক ভার্সনে আপগ্রেড করছেন। ইন-প্লেস আপগ্রেড আপনার সিস্টেমের অনেক সমস্যা সমাধান করতে পারবে। যদি না পারে তাহলে উইন্ডোজ বুট সমস্যা থাকবে।
উইন্ডোজ এক্সপি’র ইন-প্লেস আপগ্রেড বেশ সহজ। এই কাজটি করতে চাইলে ড্রাইভে উইন্ডোজ এক্সপি সিডি ঢুকিয়ে সিস্টেম রিস্টার্ট করুন এবং বুট করুন সিডি থেকে। উইন্ডোজ এক্সপি সেটআপ স্ক্রিন আবির্ভূত হবার পর এন্টার চাপুন এক্সপি সেটআপ প্রক্রিয়া চালু করার জন্য। লাইসেন্স এগ্রিমেন্ট পেজ আসার পর F8 কী চাপতে হবে সম্মতি জ্ঞাপন করার জন্য। এরপর সেটআপ হার্ডডিস্কে উইন্ডোজের পূর্ববর্তী ইনস্টলেশন খুঁজে দেখবে। পূর্ববর্তী ইনস্টলেশন খুঁজে পেলে আপনি দ্বিতীয় এক্সপি সেটআপ স্ক্রিন পাবেন, যা চিত্র-১-এ দেখানো হয়েছে।
এই স্ক্রিনে আপনাকে প্রম্পট করা হবে R চাপার জন্য যা সিলেক্ট করা ইনস্টলেশনকে রিপেয়ার করবে। অথবা ESC কী চাপতে হবে উইন্ডোজের নতুন কপি ইনস্টল করার জন্য। এক্ষেত্রে রিপেয়ার অপারেশনের উদ্যোগ ইন-প্লেস আপগ্রেডের সমার্থক। সুতরাং আপনাকে R চাপতে হবে। এ কাজটি করলে Setup সিস্টেমের ডিস্ক ড্রাইভ পরীক্ষা করবে। এরপর শুরু করবে ইন-প্লেস আপগ্রেডের কাজ।
লক্ষণীয়, ইন-প্লেস আপগ্রেড বা রিপেয়ার ইনস্টলেশন কার্যকর করার পর আপনাকে অবশ্যই উইন্ডোজের সব আপডেট রিইনস্টল করতে হবে।

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৩

সিকিউরিটি ISO BackTrack নিয়ে কিছু কথা ……

নতুন করে backtrack নিয়ে কিছু বলার নেই । এই  টিউন এ আমি দেখাব উবুন্টু লিনাক্স প্রধান অপারেটিং সিস্টেম (default ) হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়া আপনার উইন্ডোজ এ virtual machine ব্যবহার করে ব্যাক ট্র্যাক ইন্সটল করা । যারা এসব নতুন  শুন ছেন  তাদের জন্য বলতে চাই ব্যাক ট্র্যাক ও ভার্চুয়াল মেশিন কি ?
VIRTUAL MACHINE
এটি এমন এক ধরনের কম্পিটার সিস্টেম যেটি আপনার হার্ডওয়্যার কে ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম চালনার জন্য উপযোগী করে কোন ধরনের ত্রুটি ছাড়া । আপনি এই ভার্চুয়াল মেশিন এ অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারবেন ।  আবার অন্য যে কোন সফটওয়্যার চালাতে পারবেন । আর বলে নেই আপনি যখন কোন সিকিউরিটি বা হ্যাকিং টুল নিয়ে গবেষণা করেন তাদের কম্পিউটার এ ভাইরাস ঢোকার সম্ভাবনা থাকে ।  এই ভার্চুয়াল মেশিন এ কাজ করার সময় এরকম কোন ভয় থাকে না । কারন আপনি প্রোগ্রাম এর মাঝে প্রোগ্রাম চালাচ্ছেন ।
BACK TRACK
এই সিস্টেম  টি সাধারন হ্যাকার রা ব্যবহার করে থাকেন । বিশেষ ভাবে Certified Ethical Hacking নিয়ে যারা পড়েন তারা এটি ব্যবহার করেন । এটি একটি penertesting টুল হিসেবে কাজ করে । আপনাকে উইন্ডোজ এ যেমন কনও কিছু ডাউনলোদ করে ইন্সটল করতে হয় তেমনি এখানে সব ধরনের নিরাপত্তা বিষয়ক টুল দেয়া থাকে । সুধু আপনাকে ইন্সটল করে নিতে হবে । এর জন্য আলাদা extension এর দরকার হয় না ।
আমি ব্যাক ট্র্যাক ইন্সটল করেছিলাম । সেটি ই আপনাদের দেখাব ।
আসল কথায় আসি
আমি দেখাব আপনারা কিভাবে back track 5r3 ইন্সটল করবেন ।

Stage 1
Requirements
প্রথমে এখান থেকে backtrak iso ডাউনলোড  করুন ।
এখন vmware wrokstation বা vemware যে কোন একটি ভার্চুয়াল মেশিন ডাউনলোড করুন ।
এখন উপর এর দুটির যে কোন একটি নামিয়ে ইন্সটল করুন ।
Stage 2
Installation
নতুন একটি ভার্চুয়াল মেশিন তৈরি করুন ।
Installing backtrack 5 R3 in virtual machine step by step  [ how to ]
এবার ইন্সটলার iso নির্বাচন  করে দিন ( choose backtrack 5 ISO )
Installing backtrack 5 R3 in virtual machine step by step  [ how to ]
এবার guest operating system এ লিনাক্স এবং ভার্সন হিসেবে ubuntu নির্বাচন করুন ।

Installing backtrack 5 R3
এবার আপনার ব্যাক ট্র্যাক এর জন্য ড্রাইভ নির্বাচন করুন । সি তে যেহেতু উইন্ডোজ থাকে তাই E,F আপনার যে ড্রাইভ একদম খালি সেটি নির্বাচন করুন ।

Installing backtrack 5 R3 কিন্তু একটা জিনিশ আপনার ড্রাইভ এ কমপক্ষে ২০ যিবি জায়গা থাকতে হবে । ৬৪ বিট এর জন্য
Installing backtrack 5 R3
vm window তৈরি করার জন্য ফিনিশ ক্লিক করুন ।
Installing backtrack 5 R3
এবার বুট স্ক্রিন এ যাবার জন্য enter চাপুন । default boot text mode নির্বাচন করে আবার এন্টার চাপুন ।
Installing backtrack 5 R3
মানে এই পয়েন্ট এ এন্টার চাপুন ।
Installing backtrack 5 R3 এবার gui (Grapic User Interfes ) এর জন্য startx
এবার ইন্সটল ব্যাক ট্র্যাক এ ক্লিক করুন । এবার টার্মিনাল ওপেন করে sh -c “ubiquity”  টাইপ
করুন ।
Installing backtrack 5 R3
এবার নরমাল installation এর মত এগিয়ে যান । যদি সুধু ব্যাক ট্র্যাক ইন্সটল করেন তাহলে পুরো ডিস্ক ব্যবহার করুন । আর অন্য অপারেটিং সিস্টেম থাকলে পার্টিশন করে দিন । আমি কিন্তু এই টিউটরিয়াল এ ভার্চুয়াল হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করছি ।
Installing backtrack 5 R3
click on forward and click on install
Installing backtrack 5 R3
ইন্সটল শেষ হয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন
সাধারনত ৩০ মিনিট লাগে ।
Installing backtrack 5 R3
Stage 3
Network Configuration
virtualbox guest audition installation
vmware tools installation
backup and recovery
snapshots
আসলে আমি লেখা এই পর্যন্ত শেষ করে দিলাম । কিন্তু VMWARE TOOL কিভাবে ইন্সটল করবেন টা নিয়ে আবার এর ২ নম্বর পর্ব নিয়ে আসব ।
আর উইন্ডোজ ৭ আর ৮ এ এটি  পরীক্ষিত । এক্সপি তে চলবে… তবে ৩২ বিট নিয়ে সঙ্কা থাকতে পারে

মাইক্রোওয়ার্কার্সে বেশী জব পাওয়ার কৌশল এবং একটি অসাধারণ প্লাগিন

আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন মাইক্রোওয়ার্কার্সে বেশী জব পাওয়ার কৌশল কি? আসলে উত্তর একেবারে সহজ। বেশী করে রিফ্রেশ দিবেন,এইটার কোন বিকল্প নাই কারন মাইক্রোতে প্রতি মুহুর্তে জব আপডেট হয় এবং কিছু কিছু অল্প পজিশনের জব আছে যেইগুলা ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটে শেষ হয়ে যায়… সুতরাং পারলে প্রতি ৫ সেকেন্ডে একবার রিফ্রেশ দিবেন।
microworkersএইভাবে রিফ্রেশ দেওয়াটা আসলে খুবই বিরক্তিকর। কারন তখন অন্য কোন কাজ করা যায় না। রিফ্রেশ দিতে দিতে হাতের আঙ্গুল ব্যথা হয়ে যায়। অনেক সময় জব আসলেও রিফ্রেশ এর অভ্যাসবশত F5 এ চাপ দেওয়ায় অইটা আবার চলেও যায়। রাগে তখন মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করে (আমি নিজেই ভুক্তভোগী)। আবার অনেকে বলেছেন রিফ্রেশ দিতে দিতে কিবোর্ডের F5 বাটন এর অবস্থা নাকি কেরোসিন,আর কিছুদিন গেলে জানাজা দেওয়া লাগবে। তো এইটা থেকে বাচার উপায় কি? কখনো ভেবেছেন কি এমন কোন উপায় যদি থাকত রিফ্রেশ এর কাজটা অটোমেটিক হয়ে যেত আর জব আসলে এলার্ট দিয়ে দিত?
হ্যা,আপনার মনের কথাটা আমি বুঝি,আর তাই আপনার কষ্টের সমাধানের জন্যই এই পোস্ট। এইবার একটু নড়েচড়ে বসেন।
অটোমেটিক  রিফ্রেশ এর জন্য আমি একটি অসাধারন প্লাগিন ইউজ করি। প্লাগিনটির নাম হচ্ছে Auto Refresh Plus. এটি শুধু গুগল ক্রোম ইউজারদের জন্য । আপনাদের অনেকের কাছে হয়তো আরো অনেক অটো রিফ্রেশ এর জন্য প্লাগিন আছে। আমিও অনেকগুলা ইউজ করেছি। আমার কাছে এটিই সেরা মনে হয়েছে। কারন, এইটার কিছু ফিচার এটাকে অন্যগুলা থেকে আলাদা করে দিয়েছে। অন্য রিফ্রেশার প্লাগিন দিয়েও ৫/১০ সেকেন্ড পর পর অটোমেটিক রিফ্রেশ দেওয়া যায়,কিন্তু ওইগুলার অসুবিধা হল জব আসলেও রিফ্রেশ বন্ধ হয় না যদি না আপনি নিজে বন্ধ করেন। যার ফলে ভুলবশত রিফ্রেশ বন্ধ না করলে জব আসলেও আবার চলে যায় (রাগে চুল ছিড়ার ইমো হবে)।কিন্তু Auto Refresh Plus এর চমৎকার সুবিধা হচ্ছে জব আসলে রিফ্রেশ অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায় এবং একটি পপআপ নটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দেয় জব হাজির :) । ভাবছেন কিভাবে সম্ভব? বলছি বলছি…
প্রথমে ক্রোম অয়েব স্টোর থেকে Auto Refresh Plus ডাউনলোড এবং ইন্সটল করে নিন। সরাসরি এই লিঙ্কে গিয়ে ডাউনলোড করুন।
Add to Chrome এ ক্লিক করুন। ডাউনলোড হয়ে গেলে ইন্সটল এ ক্লিক করুন।
ইন্সটল হয়ে গেলে ব্রাউজার এর উপরে ডান কোনায় Auto Refresh Plus বাটন দেখতে পাবেন। এইটার উপর মাউস এর রাইট বাটন ক্লিক করে Options এ যান।
নিচের চিত্রের মতো দেখতে পাবেন। স্ক্রল করে নিচে আসুন। পেজ মনিটর অপশন থেকে Enable This Feature এ ঠিক চিহ্ন দিন। Page Monitor Pattern থেকে Popup Notification once FIND the target সিলেক্ট করুন। Play Sound অপশন থেকে  Play sound candidate 1 (1 second) অথবা Play sound candidate 2 (6 seconds) সিলেক্ট করুন। Save করে বেরিয়ে আসুন। ভালভাবে বুঝার জন্য নিচের স্ক্রিনশটটি দেখুন।
1
কাজ অর্ধেক শেষ। এবার ব্রাইজার এর উপরের ডান কোনায় থাকা Auto Refresh Plus বাটনে সরাসরি ক্লিক করুন। Time Interval থেকে 5 Seconds সিলেক্ট করুন। আপনি চাইলে ম্যানুয়েলি ইচ্ছামত টাইম বসাতে পারবেন। এখন Page Monitor Once Find The Target বক্সে লিখুন 1 Jobs ।উপরের Start বাটনে ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন। ভালভাবে বুঝার জন্য নিচের স্ক্রিনশটটি দেখুন।
2
এখন প্রতি ৫ সেকেন্ড পর পর অটোমেটিক রিফ্রেশ হতে থাকবে। আপনি চাইলে এখন বিশ্রাম নিতে পারেন অথবা অন্য ট্যাব খুলে কাজ করতে পারেন। এবার কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। যখনই আপনার মাইক্রো পেইজে ১টি জব আসবে তখনি রিফ্রেশ বন্ধ হবে এবং Auto Refresh Plus সাউন্ডসহ নিচের চিত্রের মত পপআপ নোটিফিকেশন দিবে।
3
যেহেতু সাউন্ডসহ নোটিফিকেশন দিবে সুতরাং আপনি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও এলার্ট পাবেন। এবার জবটি কমপ্লিট করুন এবং আগের মত Auto Refresh Plus বাটনে ক্লিক করে টাইম সিলেক্ট করে Start বাটনে ক্লিক করুন। আপনি চাইলে এখন ফেসবুক ব্রাউজ/চ্যাট করতে পারেন অথবা অন্য কাজ করতে পারেন আগের মত রিফ্রেশ হতে থাকবে এবং জব আসলে সাউন্ডসহ এলার্ট দি‍য়ে বলবে বান্দা হাজির :) । আশা করা যায় এখন থেকে কোন জব মিস হবে না :D ।অলস মানুষ আমি।অনেক কষ্ট করে লিখেছি। এর মাঝে দুইবার কারেন্ট চলে গেছে। যাই হোক,কেমন লাগল জানাবেন।

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টে টাইম কাউন্টডাউন অ্যানিমেশন (mega post)

আজকের পর্বে থাকছে পাওয়ারপয়েন্টে টাইম কাউন্টডাউন অ্যানিমেশন করার কৌশল। পুরনো দিনের সাদাকালো মুভি শুরুর আগে গোলাকার চাকতির মাঝে উল্টো দিক থেকে সংখ্যা গণনা করার পর মুভি শুরু হতো। অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ দিয়ে কাজটি করা যায়, তবে তা করতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হবে। ফ্ল্যাশের চেয়েও আরো কম সময়ে ও খুব সহজেই পাওয়ারপয়েন্টে করা যাবে। পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড বানানোর পর যদি তা ফ্ল্যাশ ফাইল হিসেবে সংরক্ষণ করা হয় তবে কারো বোঝার উপায় থাকবে না যে তা পাওয়ারপয়েন্টের সাহায্যে করা হয়েছে। টাইম কাউন্টডাউন ইফেক্টযুক্ত স্লাইড বানানোর কৌশল ধাপে ধাপে নিচে বর্ণনা করা হলো।
countdown animation
ধাপ-১ :
প্রথমে পাওয়ারপয়েন্ট চালু করে খালি একটি স্লাইড নিতে হবে। তারপর স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ কালো নির্বাচন করতে হবে। ২০০৭ ভার্সনে কাজটি করার জন্য খালি স্লাইডে বাটন ক্লিক করে Format Background-এ নির্বাচন করতে হবে। তারপর Solid Fill রেডিও বাটন চেক থাকা অবস্থায় কালার বাকেট থেকে কালো রঙ নির্বাচন করে Apply to all-এ ক্লিক করুন, এতে নতুন স্লাইড যোগ করা হলে তা কালো রঙয়ের হবে ।
ধাপ-২ :
ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচনে স্লাইডের মাঝখানে সাদা রঙয়ের বড় আকারের একটি বৃত্ত আঁকুন। বৃত্ত আঁকার কাজ করার জন্য Insert থেকে গোলাকার শেপ নির্বাচন করতে হবে এবং সুন্দরভাবে স্লাইডের মাঝ বরাবর বড় করে একটি বৃত্ত আঁকতে হবে। বৃত্তের আকার একটি নির্দিষ্ট মাপে থাকলে দেখতে নিখূঁত লাগবে, তাই তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই হতে হবে। বৃত্তের ওপরে ডবল ক্লিক বা বৃত্তটি সিলেক্ট করে রিবন বার থেকে Format সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ফরমেট বারের ডানপাশে Size লেখা ঘরে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের স্থানে ৬ লিখে এন্টার চাপুন। এরপর বৃত্তটি সিলেক্ট করে তা স্লাইডের একেবারে মাঝ বরাবর স্থাপন করতে হবে ।
ধাপ-৩ :
বৃত্তটি সিলেক্ট করে Shape Fill-এ No Fill এবং Shape Outline থেকে সাদা রঙ নির্বাচন করতে হবে। এরপর Shape Outline > Weight > More Lines অপশন থেকে বৃত্তের ধার মোটা করার জন্য উইডথ লেখা স্থানে ১০ বা ১২ এবং Compound Type থেকে Double লাইন সিলেক্ট করতে হবে (চিত্র-১)।
ধাপ-৪ :
বৃত্তের ভেতরে সংখ্যা বা অক্ষর লেখার জন্য ইনসার্ট থেকে টেক্সট বক্স এনে তা বৃত্তাকার শেপটির মাঝখানে স্থাপন করতে হবে। টেক্সট হিসেবে ৫ লিখুন এবং ফন্ট বদলে তা Arial Black এবং ফন্টের আকার ২০০ বা ২৫০ টাইপ করতে হবে। খেয়াল রাখবেন যাতে অক্ষরটি বৃত্তের পরিধির বাইরে চলে না যায়। অন্য যেকোনো ফন্ট ব্যবহার করা যাবে তবে অবিকল আসল ইফেক্টের জন্য এরিয়াল ফন্টটিই ভালো দেখাবে ।
ধাপ-৫ :
টাইম কাউন্টডাউনের ব্যাপারটি পুরোপুরি ফিল্মের মতো বানানোর জন্য বৃত্তের বা স্লাইডের মাঝখানে উলম্ব ও আড়াআড়িভাবে একটি করে দাগ টানতে হবে। দাগ টানার জন্য Insert থেকে Line নিতে হবে। এর মতো করে স্লাইডে দুটি দাগ টানতে হবে। দাগ মোটা করার জন্য শেপ আউটলাইন থেকে ওয়েইটের মান ৬ বা ৮ করতে হবে।
ধাপ-৬ :
এরপর বৃত্তটিকে সিলেক্ট করে Custom Animation থেকে Add Effect >Entrance >Wheel নির্বাচন করতে হবে। এরপর বৃত্তটিকে সিলেক্ট থাকা অবস্থায় ডানপাশে আসা কাস্টম অ্যানিমেশন প্যানেল থেকে Start অপশনে On Click-এর পরিবর্তে After Previous এবং Spokes-এর ঘরে ৪-এর বদলে ১ লিখে দিতে হবে। অ্যানিমেশনের স্পিড মিডিয়াম বা ফাস্ট করে দিতে হবে।
ধাপ-৭ :
এবার ৫ লেখাটিকে বা টেক্সট বক্সটিকে সিলেক্ট করে একই পদ্ধতিতে Add Effect > Entrance > Fade দিয়ে অ্যানিমেশন প্রয়োগ করতে হবে। Start অপশনে On Click-এর পরিবর্তে With Previous এবং স্পিড মিডিয়াম বা ফাস্ট প্রয়োগ করতে হবে।
ধাপ-৮ :
এবার Exit Effect ব্যবহার করার পালা। বৃত্ত ও টেক্সট বক্স উভয়কেই একসাথে সিলেক্ট করতে হবে। উভয়কেই সিলেক্ট করার জন্য Ctrl বাটন চেপে মাউসের সাহায্যে বৃত্ত ও বক্স সিলেক্ট বা Ctrl+A চেপেও দুটিকে একসাথে সিলেক্ট করা যাবে। Add Effect > Exit > Fade সিলেক্ট করে Start অপশনে On Click-এর পরিবর্তে After Previous এবং স্পিড মিডিয়াম বা ফাস্ট করে দিতে হবে। বৃত্ত ও টেক্সট বক্স উভয়কেই একই রকম স্পিড ও অ্যানিমেশন স্টাইল দিতে হবে।
ধাপ-৯ :
এবার স্লাইড ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে Advance Slide-এর ঘরে On Mouse Click-এর পরিবর্তে Automatically After-এ টিক চিহ্ন দিতে হবে।
ধাপ-১০ :
এবার বামপাশে ছোট করে দেখানো স্লাইড প্রিভিউতে ১নং স্লাইড সিলেক্ট করে Ctrl+C চেপে কপি করে Ctrl+V চেপে তা পাঁচবার পেস্ট করতে হবে। এ কাজ করার পর একই রকমের ৬টি স্লাইড দেখা যাবে। প্রথম স্লাইডে ৫ লেখা থাকবে এবং পরের স্লাইডগুলোর টেক্সট বক্সের অক্ষর বদলে যথাক্রমে ৪,৩,২,১ ও ০ লিখতে হবে।
ধাপ-১১ :
এখন প্রথম স্লাইড সিলেক্ট করে F5 চেপে বা মাউসের সাহায্যে স্লাইড শোতে ক্লিক করে স্লাইডগুলো ঠিকমতো টাইম কাউন্টডাউন ইফেক্ট কাজ করে কি না পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি কোনো ভুল থাকে তবে কাস্টম অ্যানিমেশনে ঠিকভাবে অ্যানিমেশনের গতি ও স্লাইডের অ্যানিমেশন চালু হবার ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ধাপ-১২ :
সব কিছু ঠিক থাকলে এবং পাওয়ারপয়েন্টকে ফ্ল্যাশে রূপান্তর করার থার্ড পার্টি সফটওয়্যার (ispring Free) ইনস্টল করা থাকলে তা ফ্ল্যাশ ফাইল হিসেবে সেভ করে চালিয়ে দেখুন। ফ্ল্যাশের কাজ আর পাওয়ারপয়েন্টে করা কাজের মাঝে কোনো তফাৎ খুজে পাওয়া যাচ্ছে কি?
কাজটিতে আরো নতুন মাত্রা যোগ করার জন্য স্লাইডগুলো কপি করার আগে প্রথম স্লাইডে টিকটিক বা ঘড়ির কাঁটার আওয়াজ যুক্ত করতে পারেন Add Sound অপশন থেকে। এতে ইফেক্টটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে। শেষ স্লাইডে ০ লেখার বদলে GO বা START লিখে দিলে আরো ভালো লাগবে। কাজটি আলাদা ৬টি স্লাইডে না করে এক স্লাইডেও করা যায়, তবে তা এডিট করার সময় কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে হয়। তাই সহজ পদ্ধতিতেই কাজটি দেখানো হয়েছে। আশা করি টিউটরিয়ালটি আপনাদের কাজে আসবে।

পাসওয়ার্ড protected মেমোরি কার্ড আনলক করুন (১০০% কার্যকরী মিনি টিউন)

আজকে ছোট কিন্তু কার্যকারী একটি টিউন নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। মিনি টিউন করতে মাঝে মাঝে বেশ মজা লাগে যদিও চেষ্টা করি বড় কিছু লিখার। যাক, আজকের টিপস হল আপনার পাসওয়ার্ড protected মেমোরি কার্ড আনলক করতে পারবেন সহজেই। তাহলে চলুন কোন চিত্র ছাড়া একটি মিনি পোস্ট।
memory-card-password-unlock
প্রথমেই আপনার ছোট একটি মোবাইল সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে ডাউনলোড করুন এখান থেকে
এবার আনলক করুন:
  1. এবার কার্ড প্রবেশ করুন মোবাইল এর মাঝে। (তবে অবশ্যই কার্ড টি ওপেন করবেন না কোন ক্লিক করবেন না।)
  2. এখন FExplorer সফটওয়্যার ওপেন করে এখানে যান path C:\system.
  3. এবার দেখুন mmcstore নামের একটি ফাইল আছে সেটির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দিন mmcstore.txt
  4. এবার (mmcstore.txt) এটি কপি করে আপনার কম্পিউটার এ নিয়ে আসুন এবং notepad.দিয়ে ফাইল্টি ওপেন করুন।
  5. এবার দেখুন এটির ভিতরে আপনার সেই পাসওয়ার্ড টি জল জল করে জলছে। মানে আপনার পাসওয়ার্ড টি দেখে যাবে এখানে। মোবাইল এর পাসওয়ার্ড গুলো এই ফাইলের মাঝে সেভ হয়। এবার আপনি নিজের পাসওয়ার্ড জেনে নিলেন তাহলে আনলক করতে দেরি কেন?

উইন্ডোজের ড্রাইভার সমস্যা একটি বড় সমস্যা – নিয়ে নিন চিরমুক্তি

আমরা যারা উইন্ডোজ ব্যবহার করি, তারা কখনো ড্রাইভার সমস্যায় পড়িনি একথা বলা যাবে না। উইন্ডোজের ড্রাইভার সমস্যা একটি বড় সমস্যা। কারণ সঠিক ড্রাইভারটি খুঁজে পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট ডিভাইস ঠিকমতো কাজ করবে অথবা একেবারেই কাজ করবে না। সাধারণত কমপিউটারের যেকোনো ডিভাইস কেনা হলে তার সাথে সিডি বা ডিভিডিতে করে ড্রাইভার দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কোনো কারণে তা হারিয়ে গেলে অথবা অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন করার ফলে যদি আগের ড্রাইভার কাজ না করে তাহলেই সমস্যার শুরু।
ড্রাইভার সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। অনেক সময় হার্ডওয়্যারের কারণেও হয়। কোনো ডিভাইসের নির্দিষ্ট অংশ ঠিকমতো কাজ না করলেও ড্রাইভার নিয়ে সমস্যা হয়। সফটওয়্যারের কারণে বা ড্রাইভারের যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয়, তা বেশিরভাগ সময় ড্রাইভার রোল ব্যাক করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। ডিভাইস ড্রাইভার আসলে কিছু ইনস্ট্রাকশন সেটের বাইরে আর কিছুই নয়। কোনো ডিভাইস কিভাবে চলবে তা নির্ধারিত হয় এসব ড্রাইভারের মাধ্যমে। ড্রাইভার আপডেট করতে গেলে প্রায়ই সমস্যা হয়, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল ড্রাইভার সিলেক্ট করার কারণে ডিভাইস কাজ করে না।
এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রত্যেকটি ডিভাইসের ড্রাইভার আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সাথে হালনাগাদ করা ড্রাইভার ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত ডাউনলোড করে রাখলে প্রয়োজনের সময় বিপদে পড়তে হবে না। কিন্তু এমন যদি হয় যে ডিভাইসের মডেল নম্বর পাওয়া যাচ্ছে না বা ঠিক কোন ড্রাইভারটি সঠিক তা বের করা যাচ্ছে না তাহলে ডিভাইসটি অকার্যকর অবস্থায় থাকবে। খুব বেশি সমস্যা হয় যখন ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম থেকে ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন করা হয়।
উইন্ডোজের ড্রাইভার সমস্যা, কম্পিউটার সমস্যা, পিসির ড্রাইভার সমাধান
উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা বা উইন্ডোজ সেভেনে এই সমস্যার বেশ ভালো সমাধান আছে। এসব অপারেটিং সিস্টেমে অটোমেটিক আপডেট নামে একটি অপশন আছে, যেগুলো এনাবল করা থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যেকটি ডিভাইসের ড্রাইভার আপডেট হয়ে যায়। লিনআক্সের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। তবে উইন্ডোজের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা আছে। শুধু লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেমেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
যেসব ব্যবহারকারী লাইসেন্স করা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন না তাদের জন্য এই সুবিধা কাজে লাগানো যাবে না। বিকল্প কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যার আছে, যেগুলো নিজে থেকেই আপডেটেড ড্রাইভার সিস্টেমের জন্য নির্বাচন করবে এবং যা ওয়েব থেকে ডাউনলোড ও ইনস্টল করবে। এ ধরনের সফটওয়্যার বেশ কার্যকর। এমনকি সিস্টেমের বায়োস আপডেটের জন্যও এসব থার্ড পার্টি সফটওয়্যার কাজ করে থাকে।
যদি এমন হয়, যে কারো ডিভাইস ড্রাইভার আছে এবং তা কাজ করছে বলে আপডেটেড ড্রাইভার প্রয়োজন নেই ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়। আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে ডিভাইসের পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়ে। সাধারণত একেবারে হালনাগাদ করা ডিভাইস ড্রাইভার প্রতিটি ডিভাইসে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দেয়।
এমন দুটি সফটওয়্যার হচ্ছে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান এবং ড্রাইভার ডিটেকটিভ। তবে এসব সফটওয়্যার কোনোটাই কিন্তু ফ্রি নয়। তবে অনেক পুরনো কোনো ডিভাইসের ড্রাইভার বের করার জন্য এসব সফটওয়্যার বেশ ভালো কাজে দেয়। এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান কাজ করে।
ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান

ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান প্রতিটি ডিভাইসের সঠিক ড্রাইভার খুঁজে বের করতে ও তা ইনস্টল করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। www.drivermagician.com এই ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যাবে। প্রথমেই এই সফটওয়্যারের ফিচারগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ফিচার
০১. সর্বমোট চারটি মোডে এই সফটওয়্যার ডিভাইস ড্রাইভারের ব্যাকআপ নিতে পারে।
০২. খুব সহজেই ড্রাইভার রোল ব্যাক করা বা পুরনো ড্রাইভারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
০৩. নিজে থেকেই ড্রাইভার আপডেট করতে পারে যাতে করে সিস্টেমের পারফরম্যান্স ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়।
০৪. খুব সহজেই ডিভাইসের ড্রাইভার আনইনস্টল করা যায়।
০৫. ডিভাইস ড্রাইভারের লাইভ আপডেটের ব্যবস্থা আছে।
০৬. পুরোপুরি অজানা ডিভাইসকে খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারে।
০৭. সিস্টেমের ডেস্কটপ ও মাই ডকুমেন্টস ফোল্ডার খুব সহজেই ব্যাকআপ নিতে পারে।
০৮. খুব সহজেই ব্যাকআপ নেয়া ফাইল ও ফোল্ডার রিস্টোর করতে পারে। ব্যাকআপ নেয়ার জন্য ফোল্ডার সিলেক্ট করে দিতে হয়। তাহলেই নিজে থেকেই ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ব্যাকআপ নিয়ে নেবে।
০৯. নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য ড্রাইভারগুলোর ক্লোন করে রাখা যায়, যাতে পরবর্তী সেটআপের সময় ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ইনস্টল না করেই কাজ করা যায় এবং এই ক্লোন এক্সিকিউটেবল ফাইল হিসেবে সেভ করে রেখে দেয়া যায়। শুধুই এক্সিকিউটেবল ফাইল নয়, ইনস্টলেশন শিল্ড উইজার্ড হিসেবেও ড্রাইভার সংরক্ষণ করা যায়।
এই সফটওয়্যারের ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ডাউনলোড করার পর তা ইনস্টল করতে হবে। ইনস্টল করার পর তা চালু করলে নতুন ড্রাইভার খোঁজা, ড্রাইভার আপডেট, ড্রাইভার রিস্টোর, লাইভ আপডেট প্রভৃতি অপশনগুলো পাওয়া যাবে। অজানা ডিভাইসের ড্রাইভার খুঁজে বের করার জন্য লাইভ আপডেট করে নিতে হবে। তারপর টুল মেনু থেকে ডিটেক্ট আননোন ডিভাইস সিলেক্ট করে নিলে ড্রাইভারের ডাটাবেজ থেকে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান নিজে নিজেই তার ড্রাইভার খুঁজে বের করবে। তবে মনে রাখতে হবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান খোলার জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রাইট প্রয়োজন পড়বে। যদি সিস্টেমের ইউজার অ্যাডমিন নিজেই হন, তাহলে এই সফটওয়্যার খোলার জন্য কোনো পাসওয়ার্ড লাগবে না।
তবে এই সফটওয়্যার যাতে ঠিকমতো কাজ করতে পারে সেজন্য সবার আগে সিস্টেমের ইন্টারনেট সংযোগ থাকা বাধ্যতামূলক। সেই সাথে অন্তত একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার থাকতেই হবে। তা না হলে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান কাজ করবে না। কারণ কোনো ড্রাইভার ইন্টারনেট থেকে খুঁজে পেলে তা ম্যানুয়ালি ব্যবহারকারীকেই ডাউনলোড করতে হবে। শুধু লিঙ্কটা দেখিয়ে দেবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান।

উইন্ডোজের ড্রাইভার সমস্যা একটি বড় সমস্যা – নিয়ে নিন চিরমুক্তি

আমরা যারা উইন্ডোজ ব্যবহার করি, তারা কখনো ড্রাইভার সমস্যায় পড়িনি একথা বলা যাবে না। উইন্ডোজের ড্রাইভার সমস্যা একটি বড় সমস্যা। কারণ সঠিক ড্রাইভারটি খুঁজে পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট ডিভাইস ঠিকমতো কাজ করবে অথবা একেবারেই কাজ করবে না। সাধারণত কমপিউটারের যেকোনো ডিভাইস কেনা হলে তার সাথে সিডি বা ডিভিডিতে করে ড্রাইভার দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কোনো কারণে তা হারিয়ে গেলে অথবা অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন করার ফলে যদি আগের ড্রাইভার কাজ না করে তাহলেই সমস্যার শুরু।
ড্রাইভার সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। অনেক সময় হার্ডওয়্যারের কারণেও হয়। কোনো ডিভাইসের নির্দিষ্ট অংশ ঠিকমতো কাজ না করলেও ড্রাইভার নিয়ে সমস্যা হয়। সফটওয়্যারের কারণে বা ড্রাইভারের যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয়, তা বেশিরভাগ সময় ড্রাইভার রোল ব্যাক করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। ডিভাইস ড্রাইভার আসলে কিছু ইনস্ট্রাকশন সেটের বাইরে আর কিছুই নয়। কোনো ডিভাইস কিভাবে চলবে তা নির্ধারিত হয় এসব ড্রাইভারের মাধ্যমে। ড্রাইভার আপডেট করতে গেলে প্রায়ই সমস্যা হয়, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল ড্রাইভার সিলেক্ট করার কারণে ডিভাইস কাজ করে না।
এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রত্যেকটি ডিভাইসের ড্রাইভার আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সাথে হালনাগাদ করা ড্রাইভার ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত ডাউনলোড করে রাখলে প্রয়োজনের সময় বিপদে পড়তে হবে না। কিন্তু এমন যদি হয় যে ডিভাইসের মডেল নম্বর পাওয়া যাচ্ছে না বা ঠিক কোন ড্রাইভারটি সঠিক তা বের করা যাচ্ছে না তাহলে ডিভাইসটি অকার্যকর অবস্থায় থাকবে। খুব বেশি সমস্যা হয় যখন ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম থেকে ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন করা হয়।
উইন্ডোজের ড্রাইভার সমস্যা, কম্পিউটার সমস্যা, পিসির ড্রাইভার সমাধান
উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা বা উইন্ডোজ সেভেনে এই সমস্যার বেশ ভালো সমাধান আছে। এসব অপারেটিং সিস্টেমে অটোমেটিক আপডেট নামে একটি অপশন আছে, যেগুলো এনাবল করা থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যেকটি ডিভাইসের ড্রাইভার আপডেট হয়ে যায়। লিনআক্সের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। তবে উইন্ডোজের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা আছে। শুধু লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেমেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
যেসব ব্যবহারকারী লাইসেন্স করা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন না তাদের জন্য এই সুবিধা কাজে লাগানো যাবে না। বিকল্প কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যার আছে, যেগুলো নিজে থেকেই আপডেটেড ড্রাইভার সিস্টেমের জন্য নির্বাচন করবে এবং যা ওয়েব থেকে ডাউনলোড ও ইনস্টল করবে। এ ধরনের সফটওয়্যার বেশ কার্যকর। এমনকি সিস্টেমের বায়োস আপডেটের জন্যও এসব থার্ড পার্টি সফটওয়্যার কাজ করে থাকে।
যদি এমন হয়, যে কারো ডিভাইস ড্রাইভার আছে এবং তা কাজ করছে বলে আপডেটেড ড্রাইভার প্রয়োজন নেই ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়। আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে ডিভাইসের পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়ে। সাধারণত একেবারে হালনাগাদ করা ডিভাইস ড্রাইভার প্রতিটি ডিভাইসে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দেয়।
এমন দুটি সফটওয়্যার হচ্ছে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান এবং ড্রাইভার ডিটেকটিভ। তবে এসব সফটওয়্যার কোনোটাই কিন্তু ফ্রি নয়। তবে অনেক পুরনো কোনো ডিভাইসের ড্রাইভার বের করার জন্য এসব সফটওয়্যার বেশ ভালো কাজে দেয়। এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান কাজ করে।
ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান

ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান প্রতিটি ডিভাইসের সঠিক ড্রাইভার খুঁজে বের করতে ও তা ইনস্টল করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। www.drivermagician.com এই ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যাবে। প্রথমেই এই সফটওয়্যারের ফিচারগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ফিচার
০১. সর্বমোট চারটি মোডে এই সফটওয়্যার ডিভাইস ড্রাইভারের ব্যাকআপ নিতে পারে।
০২. খুব সহজেই ড্রাইভার রোল ব্যাক করা বা পুরনো ড্রাইভারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
০৩. নিজে থেকেই ড্রাইভার আপডেট করতে পারে যাতে করে সিস্টেমের পারফরম্যান্স ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়।
০৪. খুব সহজেই ডিভাইসের ড্রাইভার আনইনস্টল করা যায়।
০৫. ডিভাইস ড্রাইভারের লাইভ আপডেটের ব্যবস্থা আছে।
০৬. পুরোপুরি অজানা ডিভাইসকে খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারে।
০৭. সিস্টেমের ডেস্কটপ ও মাই ডকুমেন্টস ফোল্ডার খুব সহজেই ব্যাকআপ নিতে পারে।
০৮. খুব সহজেই ব্যাকআপ নেয়া ফাইল ও ফোল্ডার রিস্টোর করতে পারে। ব্যাকআপ নেয়ার জন্য ফোল্ডার সিলেক্ট করে দিতে হয়। তাহলেই নিজে থেকেই ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ব্যাকআপ নিয়ে নেবে।
০৯. নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য ড্রাইভারগুলোর ক্লোন করে রাখা যায়, যাতে পরবর্তী সেটআপের সময় ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ইনস্টল না করেই কাজ করা যায় এবং এই ক্লোন এক্সিকিউটেবল ফাইল হিসেবে সেভ করে রেখে দেয়া যায়। শুধুই এক্সিকিউটেবল ফাইল নয়, ইনস্টলেশন শিল্ড উইজার্ড হিসেবেও ড্রাইভার সংরক্ষণ করা যায়।
এই সফটওয়্যারের ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ডাউনলোড করার পর তা ইনস্টল করতে হবে। ইনস্টল করার পর তা চালু করলে নতুন ড্রাইভার খোঁজা, ড্রাইভার আপডেট, ড্রাইভার রিস্টোর, লাইভ আপডেট প্রভৃতি অপশনগুলো পাওয়া যাবে। অজানা ডিভাইসের ড্রাইভার খুঁজে বের করার জন্য লাইভ আপডেট করে নিতে হবে। তারপর টুল মেনু থেকে ডিটেক্ট আননোন ডিভাইস সিলেক্ট করে নিলে ড্রাইভারের ডাটাবেজ থেকে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান নিজে নিজেই তার ড্রাইভার খুঁজে বের করবে। তবে মনে রাখতে হবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান খোলার জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রাইট প্রয়োজন পড়বে। যদি সিস্টেমের ইউজার অ্যাডমিন নিজেই হন, তাহলে এই সফটওয়্যার খোলার জন্য কোনো পাসওয়ার্ড লাগবে না।
তবে এই সফটওয়্যার যাতে ঠিকমতো কাজ করতে পারে সেজন্য সবার আগে সিস্টেমের ইন্টারনেট সংযোগ থাকা বাধ্যতামূলক। সেই সাথে অন্তত একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার থাকতেই হবে। তা না হলে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান কাজ করবে না। কারণ কোনো ড্রাইভার ইন্টারনেট থেকে খুঁজে পেলে তা ম্যানুয়ালি ব্যবহারকারীকেই ডাউনলোড করতে হবে। শুধু লিঙ্কটা দেখিয়ে দেবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান।

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

এবার নিজেই তৈরি করুন রিংটোন এবং আরো অনেক কিছু!

অনেকেই তাদের মোবাইলে রিংটোন লোড করার জন্য ছুটে যান অডিও দোকানে। তারপর টাকার বিনিময়ে বাগিয়ে নেন গুটিকয়েক রিংটোন। তবে আপনি চাইলে আপনার পিসি দিয়েই রিংটোন বানাতে পারেন (আমার মতো)।

আপনার পিসি দিয়ে রিংটোন বানাতে চাইলে আপনার যা যা লাগবেঃ

১। একটি স্পিকার/হেডফোন সহ একটি কম্পিউটার।
২। একটি গান বা যেকোন অডিও ফাইল। (যেটা থেকে রিংটোন বানাবেন)
৩। Create Ringtone নামক একটি ছোট্ট সফটওয়্যার।
সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিংক পোষ্টের শেষে দেওয়া আছে। আগে দেখুন , পরে পছন্দ হলে ডাউনলোড করিয়ে নিবেন।
যেভাবে রিংটোন বানাবেনঃ
১। প্রথমে Create Ringtone সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে ফুল ভার্সন একটিভ করে নিয়ে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। নিচের মত একটি বক্স আসবে।

২। এখন সরাসরি Ringtone লেখায় ক্লিক করুন। ক্রিয়েট রিংটোন অডিও কনভার্টটার সফটওয়্যারটি ওপেন হবে।

৩। ফাইল থেকে ওপেন কমান্ড দিন।
ওপেন ডায়ালগ বক্স আসলে আপনার পছন্দের একটি অডিও ফাইল সিলেক্ট করুন যেটি কে রিংটোন এ রুপান-র করবেন।
৪। ফাইলটি ওপেন করলে নিচের মত আসবে।

5। এখানে দেখছেন যে , অডিও ফাইলটি চিত্রাকারে ওপেন হয়েছে। এখন আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, গ্রাফের যেকোন জায়গায় মাউসের বাম বাটনটি ক্লিক করে ড্রাগের মাধ্যমে একটি সিলেক্টশন তৈরি করুন। এই সিলেক্টশনকৃত অংশটুকুই হলো রিংটোন।

৬। এখন কয়েকটি বিষয়ের দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে। প্রথমত, আপনি যেই সিলেক্টশন টি তৈরি করলেন সেটি গানের / অডিও ফাইলের আপনার পছন্দ মত হয়েছে ত?? এটা জানার জন্য উপরের টুলবারের ডান দিকের প্রথম প্লে -বাটনে ক্লিক করতে হবে। এটিতে ক্লিক করলে শুধুমাত্র সিলেক্টকৃত অংশটি বাজবে।

৭। এখন যদি আপনার সিলেক্টকৃত অংশটি আপনার পছন্দ না হয় তবে সিলেক্টশনের মাঝখানে কার্সরটি নিয়ে গানটির / অডিও ফাইটির আগে / পিছে নিতে পারেন এবং সিলেক্টশন টি বাজাতে পারেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গানটির / অডিও ফাইলটির মধ্যে রিংটোন এর জন্য আপনার পছন্দের অংশটি বাছুন।
৮। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, রিংটোন এর দৈর্ঘ্য কতটুকু হবে?
এটি নির্ভর করছে আপনার উপর। সাধারণত একটি ফোনকল ৩০ সেকেন্ড ধরে বাজে। সেই হিসেবে রিংটোন এর সাধারণ দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩০ সেকেন্ড।
আপনি যেই সিলেক্টশনটি তৈরি করলেন সেটির দৈর্ঘ্য আপনি সর্বনিচে দেখতে পারবেন।

৯। এখন হলো সেভ এর পালা।
সিলেক্টকৃত ফাইলটি সেভ করার আগে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে আপনি কি ফরমেটে ফাইলটি সেভ করবেন।
mp3 & wav এর যেকোন একটি কে রিংটোন ফরমেট হিসেবে বাছুন।
ক) mp3 ফরমেটে সেভ করতে চাইলে আগে নিচের দিকের কনফিগারেশন মেনু থেকে এম.পি.৩ ফরমেট টি কনফিগার করে নিন।

এখানে বিটরেট যত বেশি দিবেন রিংটোনটির অডিও কোয়ালিটি তত ভাল হবে এবং ফাইলের সাইজ বাড়বে। সাধারণত ১২৮ কেবিপিএস দিলেই হয়।

খ) wav ফরমেটে সেভ করতে চাইলে আগে নিচের দিকের কনফিগারেশন মেনু থেকে ওয়াভ ফরমেট টি কনফিগার করে নিন
১০। mp3 & wav এর কনফিগারেশন ঠিক করা হয়ে গেলে এখন শুধু রিংটোনটি সেভ করার পালা। যথানিয়মে টুলবার থেকে ফ্লপি-ডিস্ক আইকনে ক্লিক করে অথবা ফাইল মেনু থেকে Save my ringtone অথবা Ctrl+S কমান্ড দিন।
রিংটোন ফাইলটির নাম এবং ফাইলটির টাইপ (mp3 or wav) নির্ধারণ করে রিংটোন টি সেভ করুন।
এই তো, হয়ে গেল। নিজেই তৈরি করে ফেললেন রিংটোন! :D
এতক্ষণ শুধু সফটওয়্যারটির রিংটোন কনর্ভাটার নিয়ে ”বক বক” করছিলাম, এখন সফটওয়্যারটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিয়েও হালকা-পাতলা ”বক বক” করি!!
সফটওয়্যারটি শুধুমাত্র রিংটোন এর জন্য তৈরি করা হয় নি। এ সফটওয়্যারটির দ্বারা আপনি একই সাথে অনেক কাজ করতে পারবেন। যেমনঃ
১। যেকোন অডিও ফরমেট এর ফাইলকে এমপি৩ / ওয়াভ ফরমেটে কনর্ভাট করতে পারবেন।
২। এমপি৩ থেকে ওয়াভ কিংবা ওয়াভ থেকে এমপি৩ তে কনর্ভাট করতে পারবেন।
৩। আপনার পিসিতে ব্লু-টুথ এডাপটারের মাধ্যমে বা ল্যাপটপের ব্লু-টুথ এর মাধ্যমে এই সফটওয়্যার আপনার মোবাইলে সরাসরি রিংটোন / যেকোন ফাইল পাঠাতে পারে।
এছাড়াও এই সফটওয়্যারে রয়েছে আরো দুটি এক্সটা ফিচার রয়েছে। আর তা হল Wallpaper Converter & WAP.
WAP ফিচার টি ব্যবহার করতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে এবং আরো কিছু ”ঝামেলা”র কাজ রয়েছে। তাই এটি ব্যবহার না করাই ভাল। (এটাকে আমি ”খানদানী” ফিচার বলে থাকি!)
এখন আসেন Wallpaper Converter এ। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এইটার কাজ কি। এই ফিচার এর দ্বারা আপনার পিসিতে সংরক্ষিত ছবি/ওয়ালপেপার সমূহকে আপনার মোবাইলের ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারেন।

তো দেখলেন তো অনেক কাজের কাজি এই সফটওয়্যারটি।
এবং এই সফটওয়্যারটির ডাউনলোড সাইজ মাত্র ২.৫০ এমবি। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড লিংকঃ (২.৫০ এম.বি.)

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More