হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুটিং: আজকের বিষয়: কম্পিউটারের বায়োস সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধান
ফেসবুকের অত্যন্ত হেলপফুল একটি গ্রুপ হলো ITzone। যেখানে যে কেউ প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোন সমস্যার কথা লিখে এবং সমাধান পায়। আজকে আমি আপনাদের সেই গ্রুপের যে সকল সমস্যা সুন্দর ভাবে সমধান দেয়া হয়েছে তার কিছু চৌম্বুক অংশ নিজের ভাষায় উপস্থাপন করছি।
সমস্যা-১ : Del বা F2 বা F1 চেপে বায়োসে ঢুকতে পারছি না কিংবা বায়োসের পাসওয়ার্ড ভূলে গেছি।
কারন : কখনও কখনও ভাইরাসের কারনে বায়োস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সমধান : এটি খুবই বড় একটি লেকচার যা আমার এই লেখায় পাবেন বায়োস পাসওয়ার্ড।
সমস্যা-২ : বায়োস সেভ হচ্ছে না।
কারন :
১. বায়োস জাম্পার ডিসাবল থাকতে পারে।
২. ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেছে।
সমাধান :
১. বায়োস জাম্পার ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। ঠিক না থাকলে সেটি এ্যানাবল করে নিন।
২. ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে ব্যাটারি পাল্টে নিন।
সমস্যা-৩ : বায়োস হার্ডডিস্ক পাচ্ছে না কিংবা অপারেটিং সিস্টেম না পাবার বার্তা দেখাচ্ছে।
কারন :
১. হার্ডডিস্কে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে সেটি নিশ্চিত থাকলে এই সমস্যা হতে পারে ডেটা ক্যাবল ও পাওয়ার ক্যাবলের যথাযথ সংযোগের অভাবে।
২. বায়োসের CMOS Standard Features এ হার্ডডিস্কটি None করা থাকতে পারে।
৩. CIH ভাইরাসের আক্রমনে বায়োসে হার্ডডিস্ক ডিটেক্ট করতে পারছে না।
সমাধান :
১. হার্ডডিস্কের ডেটা ক্যাবল এবং পাওয়ার ক্যাবল খুলে পুনরায় সঠিকভাবে লাগিয়ে নিন।
২. বায়োসের CMOS Standard Features এ হার্ডডিস্কটি None করা থাকলে তা পরিবর্তন করে IDE বা Auto নির্ধারন করে দিন।
৩. ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হলে বুটআপ ডিস্ক দিয়ে কম্পিউটার চালু করে ভাইরাস স্কান করুন।
সমস্যা-৪ : বায়োস সেটআপে পূর্ণাঙ্গ অপশন পাওয়া যাচ্ছে না।
কারন : বায়োসের ডিফল্ট সেটিংসটি কোন কারনে কাজ করছে না।
সমাধান : কম্পিউটারের কেসিং খুলে মাদারবোর্ডের সাথে যে ব্যাটারি রয়েছে সেটি খুলে ফেলুন। এর পর আধা ঘন্টা পরে আবার ব্যাটারিটি যথাস্থানে লাগিয়ে দিন। এতে বায়োসের ডিফল্ট সেটিংস কাজ করবে।
সমস্যা-৫ : এরর মেসেজ : CKSUM ERR (Checksum error)
কারন : কম্পিউটার বুট করার সময় Post (Power On self test) করার সময় BIOS থেকে ইনফরমেশন পড়ে নিয়ে এসময় BIOS থেকে কোন ডাটা পড়তে না পারলে এ জাতীয় Checksum এরর মেসেজ দেখায়।
সমাধান : বায়োস চিপটি ভাল করে পরীক্ষা করা উচিৎ। এটি যে আইসি বেস এর মধ্যে লাগানো থাকে সেখানে ময়লা জমতে পারে অথবা এর পিনগুলো ঠিকমতো নাও লাগানো থাকতে পারে। প্রয়োজনে বায়োস চিপটি পরিবর্তন করে পরীক্ষা করুন।
সমস্যা-৬ : সম্প্রতি আমি একটি সমস্যায় জর্জরিত হয়ে হার্ডডিস্ক ফরমেট করার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ফরম্যাটের জন্য কমান্ড দিলে মেসেজ আসে- Disk Boot Sector to be modified. Type Y to accept or press Ese to abort. আমি Y চাপলে হার্ডডিস্ক ফরমেট হয়। আমি নতুন পার্টিশন তৈরি করার পরও মেসেজটি আসতে থাকে।
কারন : BIOS সেটআপে Virus Warning অপশনটি এনাবল করা আছে।
সমাধান : BIOS থেকে সহজেই অপশনটি ডিসাবল করা যায়। মনে রাখা দরকার, এটি ডিসাবল থাকার ফলেই চেরানোবিল ভাইরাস বিশ্বের লাখ লাখ কম্পিউটারকে নষ্ট করতে পেরেছিল। অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও ভবিষ্যতেও যে এই ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের আবির্ভাব হবে না সেটি নিশ্চিত করে বলা যায় না।
সমস্যা-৭ : সফটওয়ার স্টার্ট হবার সময় Illegal Performance দেখায় ।
সমাধান :
১. বায়োসের এক্সটার্নাল ক্যাশ মেমোরি ডিসাবল করে দেখুন। তাতে কাজ হতে পারে।
২. যে সফটওয়ারটিতে সমস্যা করছে সেটি আনইন্সটল করে ফ্রেশ কপি দিয়ে পুনরায় ইন্সটল করে দেখুন।
৩. তারপরেও সমাধান না পেলে খুব সম্ভবত সেটি আপনার মাদারবোর্ডে বা র্যামের কোন সমস্যা। র্যাম বদলে দেখা যেতে পারে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন